Android লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Android লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB (8)

       বাড়িতে আসার পথে আমরা সাবিত্রী পিসীর বাড়ি ঢুকলাম । দিনটি ছিল হোলির দিন । সম্পর্কটা ঠিকঠাক না হওয়ায় মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । এই আক্ষেপে উদয় দাকে একটি মদের বোতল নিয়ে আসতে বললাম । সে কথামতো একটি মদের বোতল নিয়ে আসে । সাবিত্রী পিসী খাসির মাংশ রান্না করছিলো । আমি রান্না ঘরে গিয়ে পিসীর কাছ থেকে এক বাটি মাংস চেয়ে নিই । 

        তারপর আমরা বারান্দায় চট বিছিয়ে মদ খেতে শুরু করি । তিন প্যাক করে খাবার পর সবার মাথা ঝিমোত শুরু করে । এমন সময় পিসে মশায়ের গ্রামের এক মহিলা বাড়িতে প্রবেশ করে । সেই মহিলা পিসীর সঙ্গে গল্প করছিল আমাকে নিয়ে । তারপর সেই মহিলা আমার দিকে লক্ষ করে সাবিত্রী পিসীকে বলল - যদি কিছু না মনে কর তাহলে আমার ভাগনিকে দেখাতে চাইছিলাম । তোমার ভাসতার পছন্দ হলে ডিমান্ডের দিক থেকে আটকাবে না । মদ খেতে খেতে আমি মেয়ের মামিকে বললাম - " বর্তমানে আমাদের এক জায়গায় কথাবার্তা চলছে । অতএব ওখানে যদি সম্পর্ক না হয় তাহলে আপনার ভাগনিকে দেখতে যাবো "। 

      তারপর উনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন । আমরাও  মদের বোতল শেষ করে মাংসভাত খেতে বসলাম । তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে পিসীর বাড়ি থেকে রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে । হালকা নেশা হয়ে যাওয়ায় বাইক ধীরে চালাচ্ছিলাম । ঘন্টায় গতিবেগ ছিল ২০ কিলোমিটার । হোলির দিন থাকায় রাস্তাঘাটে তেমন গাড়ি চলছিলো না । সমস্ত রাস্তা গল্প করতে করতে ভালোভাবেই আসছিলাম । কিন্তুু সরলা ঢোকার আগে ধধরং নামক জায়গায় আমাদের দুর্ঘটনা ঘটে যায় । এতে আমার কোনো দোষ ছিল না । কারণ রাস্তার দুই ধারে গ্রামের বাসিন্দারা দাঁড়িয়ে ছিল । আর তাদের পাশে দুটি ছাগল বাঁধা ছিল । আমার বাইক ওদের কাছাকাছি আসতেই বাইকের শব্দে ভয় পেয়ে হঠাৎ একটি ছাগল আমার বাইকের সামনে চলে আসে । আর ছাগলের দড়ি বাইকের ডবল স্ট্যান্ড এর সঙ্গে লেগে যায় । আমি বাইক ব্রেক করতই দড়ির খুটা ছিটকে গিয়ে এক বুড়িকে লাগে সজোড়ে । ফলে বুড়ি ওঃ মা! বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

        আমি বাইক থামিয়ে বুড়িকে দেখতে গেলে পাড়ার লোকজন আমাকে মারতে উদ্ধত হয় । ঠিক সেই সময় গ্রামের এক বাইক নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় । উনি সবাইকে থামিয়ে দিয়ে আমার কাছে পুরো ঘটনাটি শোনে । তারপর তিনি আমাকে বলেন - " এখানে তো তোমার কোনো দোষ দেখছি না " । রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তিনি গ্রামের লোকজনকে বকা দিলেন এবং আমাকে বললেন তুমি এই বৃদ্ধার জন্য ঔষধ কিনে দাও । সরলা স্ট্যান্ডে গিয়ে বৃদ্ধাকে ১৫০ টাকার ঔষধ কিনে দিই। এরপর বাড়িতে পৌছাই বিকাল সাড়ে চার টে নাগাদ । 

           বাড়িতে পৌঁছে ....................................।




রবিবার, ২ মে, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 7

         তারপর আমি সবাইকে স্বাভাবিক ভাবে বললাম - এটা মেয়ে বাড়ির ব্যাপার , কী ঘটেছে ? ওখানে না গেলে বোঝা যাবে না । অতএব আপনারা সবাই চুপ করুন, আমাকে প্রশ্ন না করে যেতে দাও তাহলে কী ঘটেছে তা বোঝা যাবে । জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে সেখানে আসতে বলছে । এই কথা শুনে মামা-মামী, দাদু-দাদী সবার হাসি মুখে জিঙ্গাসার চিহ্ন ফুটে ওঠে । বাবা সব শুনে ও বুঝে আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে বলেন মেয়ের বাড়িতে । আমিও দেরি না করে অনন্ত ও রঞ্জিত জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের বাড়ি রওনা দিই । যেতে যেতে আমি অনন্ত জামাইবাবুকে জিঙ্গাসা করলাম - আসলে কী ঘটতে পারে ? সে বলে - আমিও তো কিছুই বুঝতে পারছি না । গতকাল অবধি তো সব ঠিকই ছিল । 

         রঞ্জিত জামাইবাবু বলে - আরে , চল না ! ওখানে পৌছালেই সব বোঝা যাবে । আমি আর কিছু না বলে বাইক চালাতে থাকি । ঘন্টা দেড়েক পরে মেয়ের বাড়ি পৌঁছে যাই । উদয় দা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন । আমি উদয় দাকে জিঙ্গাসা করতেই যাচ্ছিলাম - কী ঘটেছে ? কিন্তু সে আমার দিকে নজর না দিয়ে বলল - বাড়ির ভিতরে চলো সবাই । আমি আর কিছু না বলে উদয়ের পিছু পিছু বাড়িতে ঢুকে ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসলাম । 

         তারপর যা ঘটলো ,তা আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন না । সমস্ত ঘটনা কেমন যেন হাস্যকর । আমি মেয়ের বাবাকে জিঙ্গাসা করলাম - " হ্যাঁ, কী হয়েছে বলুন " ? মেয়ের বাবা কিছু বলার আগেই মেয়ের পাশের বাড়ির এক বউদি ( দেখতে খুব সুন্দর এবং চাকরি-ওয়ালার বউ। শিক্ষিতও মনে হচ্ছে ) বলে উঠলেন- " কী হয়নি সেটা বল "। আমি বললাম - " মানে, আমি ঠিক বুঝতে পারলাম " । বউদি - " তোমার এপয়েন্টমেন্ট লেটারে যে তিন তিনটে ভুল এগুলো কি করে মেনে নেওয়া যায়" ।

                 আমি - " দেখুন বউদি , আমি গরীবের ছেলে। আমার বাপ ঠাকুরদা কেউ কখনো চাকরি করেননি । অতএব আমার সাত পুরুষের মধ্যে আমিই প্রথম এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়েছি । আমি তো কোনদিন চোখেও দেখিনি এপয়েন্টমেন্ট লেটার কি রকম হয় । আর তাতে কী ভুল আছে তা আমি জানব কেমন করে । আচ্ছা, কী ভুল পেয়েছেন যদি একটু বলেন তবে জানতে পারি "। বউদি বললেন যেমন প্রথমত ভুল - " তোমার এপয়েন্টমেন্ট লেটারের প্রথমে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া নেই" । দ্বিতীয়ত - " পরীক্ষার তারিখ (২৯/০২/২০১৩ ) ভুল , কারণ লিপ-ইয়ার ছাড়া ফেব্রুয়ারী মাসে ২৯ তারিখ হয় না " । তৃতীয়ত - " লেটারের মাঝে বানান ভুল " । এই রকম যদি হয় তাহলে তো মেয়ের বাবাকে তুমি ধোকা দিচ্ছো ।

          আমি নির্ভয়ে জবাব দিলাম - " শুনো বউদি , তুমি যে তিনটে ভুলের কথা উল্লেখ করলে , সেটা সম্পর্কে আমার কোনো ঞ্জান নেই । কারণ , আপনাদের মেয়েকে দেখতে এসে তোমার স্বামীকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখিয়েছি এবং জেরক্স দিয়ে গেছি । দাদা একজন চাকুরীওয়ালা হয়েও গতকাল এই ভুল গুলো ধরতে পারেনি তাহলে আমি ধরবো কেমন করে । আর তুমি কী বললে যেন - "আমি মেয়ের বাবাকে ধোকা দিচ্ছি" । যদি এই রকম কোনো খারাপ চিন্তা মাথায় থাকত তাহলে এপয়েন্টমেন্ট লেটারের জেরক্স দিয়ে যেতাম না । আমি গরীব হলেও চোর নয় " । 

           আমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম এমন সময় মেয়ের বাবা আমাকে বললেন - " যাই হোক বাবা, আমি এই মুহূর্তে বিয়ে বন্ধ করছি । আর একটা কথা - তুমি আগে চাকুরীতে জোয়েন্ট করো , তারপর আমি আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দেব " । আমিও বললাম - " ঠিক আছে, এই কথাই রইল " । এই বলে আমরা মেয়ের বাবার কাছে বিদায় জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম।

       তারপর......................…...??????? 





শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 6

      মেয়ের বাবার কাছে বিদায় নিয়ে বাড়িতে পৌঁছালে,ওই দিনই একটি গাড়ি ঠিক করে আসি , আগামী কাল মেয়ের বাড়ি রেজিস্ট্রি বিয়েতে যাওয়ার জন্য । বাবা-মা, মামা-মামী ও দাদু-দাদীকে বলে রাখলাম মেয়ে দেখতে যাওয়ার জন্য । পরের দিন সকালে মা আমাকে বলে - তুই কুনোর গিয়ে তোর ছোট বোনের শাশুড়িকে নিয়ে আয়, আমাদের সঙ্গে যাবে ।

       আমি মায়ের কথামতো বাইক নিয়ে গিয়ে বোনের শাশুড়িকে নিয়ে আসি । কুনোর যেতে আসতে ঘড়িতে ১১:২৫ বেজে গেছে । বাড়িতে এসে দেখি সবাই তৈরি হয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে । আমি সবাইকে গাড়িতে ওঠার কথা বলে, তাড়াতাড়ি স্নান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু এগোতেই আমার মোবাইল বেজে ওঠে । পোকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি উদয় দা কল করেছে । কল রিসিভ করে হ্যালো বলতেই , উদয় দা বলে - " তোমরা সবাই কতদূরে আছো " । আমি বললাম - " আমরা সরলা পেরিয়ে গিয়েছি । এক ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবো "। উদয় দা - " তোমরা সবাই ওইখানে থেকে বাড়ি ফিরে যাও "। আমি - " বুঝলাম না , বাড়ি ফিরে যাবো মানে "। উদয় দা - " তুই সবাইকে বাড়িতে রেখে , তুই আর জামাইবাবু বাইক নিয়ে মেয়ের বাড়ি আয় । আসলেই বুঝতে পারবি । আমি ফোন রাখছি "।  

       আমি কিছু বলতেই যাচ্ছিলাম এমন সময় কল কেটে যায়। সবাই অনেক আশা নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে আছে । শুধু আমার অপেক্ষা , আমি পৌছালেই গাড়ি স্টার্ট করবে । আমি কিছু না ভেবে পেয়ে রঞ্জিত জামাইবাবুর মোবাইলে কল করে সবাইকে বাড়ি ফিরে আসতে বলি । আমার এই কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যায় এবং বাড়িতে ফিরে আসে এবং আমাকে জিঙ্গাসা করে - "কী ব্যাপার , আমাদের গাড়ি থেকে নেমে আসতে বললি কেন "? আমি সমস্ত ঘটনা খুলে বলি সবাইকে । এই কথা শুনে সবার মধ্যে অনেক প্রশ্নের উদ্ভব হয় । 

        তারপর ......................................??????? 

"বাকী অংশের জন্য পরের এপিসোডে চোখ রাখুন "







মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 5

         বাড়ির লোকজন টাকার চিন্তায় অস্থির । এই দুই দিনের মধ্যে কী করে এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব । আমিও খুব দূঃচিন্তায় পড়ে গেলাম । আবার কখনো ভাবছি - " যেহেতু টাকা জোগাড় হচ্ছে না, তবে চাকরির আশা করে লাভ নেই " । এই সব কথা ভাবতেই আবার মনে পড়ে যায় কলকাতা দিয়ে আসা সেই পঞ্চাশ হাজার টাকার । যদি চাকরীতে জোয়েন্ট না করি তাহলে পঞ্চাশ হাজার টাকা শোধ করব কী করে ? 

          এই সব কথা ভাবতেই হঠাৎ আমার মোবাইল বেজে ওঠে। কল রিসিভ করলে জানতে পারি আমার বড় পিসির ছেলে উদয় কল করেছে । সে আমাকে বলে - " তোর কী কোথাও সম্বন্ধ হয়ে গেছে " ? আমি উত্তর দিই - "না , এখনো কোথাও সম্বন্ধ তৈরি হয়নি " । সে আমাকে বলে  - " তুই জামাইবাবুকে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ রসিদপুর এ চলে আয় । আমি এখানে আছি " । আমি বললাম - ঠিক আছে, এই বলে কল কেটে দিলাম । আমি বুঝতে পারলাম যে - সে আমাকে মেয়ে দেখাতে নিয়ে যাবে । আমি দেরি না করে বাইকে চেপে  অনন্ত জামাইবাবুকে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ রওনা দিই । কিন্তু মাঝ রাস্তায় অনন্ত জামাইবাবু বলে - আগে তুই বরুনা হামিদপুরে চল । আমি তাঁর কথামতো বাইক হামিদপুরের দিকে ঘোরাই । হামিদপুর পৌঁছালে সে আমাকে বাইক থামাতে বলে এবং এপয়েন্টমেন্ট লেটার সঙ্গে নিয়ে তাঁর পিছু পিছু যেতে বলে । আমি তাঁর কথামতো কাজ করি । সে আমাকে নিয়ে এক ভদ্রলোকের বাড়িতে ঢুকলাম । জামাইবাবু এপয়েন্টমেন্ট লেটার সেই ভদ্রলোকের হাতে দিয়ে বলে - " দেখেন তো সব কিছু ঠিকঠাক আছে কি না " । ভদ্রলোক এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে নিয়ে দেখে বলে - " হ্যাঁ, সব কিছুই তো ঠিক আছে " । তারপর তিনি আমাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার ফিরিয়ে দেন । আমরা ভদ্রলোকের কাছে বিদায় নিয়ে বাইকে চেপে চলতে শুরু করি । 

          বাইক চলাকালীন আমি জামাইবাবুকে জিঙ্গাসা করে জানতে পারলাম ভদ্রলোকের পরিচয় । তিনি পেশায় একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক । কিছুক্ষণ পরে আমরা কালিয়াগঞ্জ রসিদপুর এ পৌঁছে । উদয় দাকে কল করি এবং সে আমাদের নিয়ে যেতে আসে । তারপরে সে আমাদেরকে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে নিয়ে যায় । আমরা সোফায় বসে মেয়ের বাবা ও কাকার সঙ্গে কথা বার্তা বলছিলাম । 

         এমন সময় একজন সুন্দরী মেয়ে হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে উপস্থিত হয় । আমি মেয়েকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই । মেয়ে চলে গেলে আমি সবার সামনে বলে দিই - "মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে কিন্তু আমাকে আপনাদের কেমন লেগেছে" । মেয়ের বাবা বললেন - " আমাদের সকলেরই তোমাকে পছন্দ হয়েছে " । এরপর লেনদেনের ব্যাপারে আমি ৩৫০০০০ ( তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার ) টাকা দাবি করি । মেয়ের বাবা টাকা দিতে রাজী হয়ে যায় এবং বলে তাহলে আগামীকাল রেজিস্ট্রি বিয়ে কমপ্লিট দিয়ে ২০০০০০ (দুই লাখ) টাকা দেব আর বাকী বিয়ের আগে । তারপর মেয়ের বাবা আমার কাছে এপয়েন্টমেন্ট লেটার এর জেরক্স চায় । আমি মেয়ের বাবাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটারের জেরক্স দিয়ে আমরা  বিদায় নিই । পরের দিন ..................................।

 





বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 4

        এরপর বাড়িতে পৌঁছালে প্রভাত দা নিজের বাড়িতে চলে যায় । আমি বাবাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখাই । এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখে বাবা খুব খুশি হয়ে যায় । চাকুরীতে জোয়েন্ট হতে মাত্র ছয় দিন সময় আছে । আর এর আগে বাকী দুই লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে । এই ছয় দিনের মধ্যে অত টাকা জোগাড় হবে কী করে ? বাবা আমাকে জয়নাল স্যারকে কল করতে বলে । আমি স্যারকে কল করি । কল রিসিভ করলে আমি বাবাকে মোবাইল দিই । বাবা জয়নাল স্যারকে বলে - " দাদা , আমরা জোয়েন্ট এর পর টাকা দেব । কারণ এই পাঁচ দিনের মধ্যে অত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় " । স্যার বাবাকে বললেন - " ঠিক আছে, আপনি গঙ্গারামপুর অফিসে গিয়ে এই কথাটি বলবেন " । তারপর আমি, বাবা ও রঞ্জিত ( জামাইবাবু ) তিন জনে মিলে অফিসে গেলাম । সেখানকার আধিকারিকদের বিষয়টি জানাই । উনারা আমাদের কথায় সহমত হয়ে বললেন - " তবুও আপনাদের জোয়েন্ট হওয়ার আগে এক লক্ষ টাকা দিতেই হবে । আর বাকী টাকা পরে দেবেন " । অফিস থেকে বাড়িতে পৌঁছালে জয়নাল স্যার আমাদের বাড়ি চলে আসেন এবং বাবাকে বলেন - " আপনি টাকার জন্য ভাবছেন কেন? ছেলের বিয়ে লাগান তাহলেই টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে " । তারপর শুরু হয়ে গেল মেয়ে দেখার পালা । এক ঘটক এখানে তো আর এক ঘটক সেখানে মেয়ে দেখায় । কোথাও পছন্দ হচ্ছে কিন্তু টাকা দিতে পারবে না । আবার কোথাও পছন্দ হচ্ছে না কিন্তু টাকা দিতে পারবে । এইভাবে করে চার দিনে কুড়িটি মেয়ে দেখা হয়ে গেলেও কোথাও সম্বন্ধ তৈরি হল না । অন্য দিকে সময় সংকীর্ণ । কী করে টাকা জোগাড় করা সম্ভব তা নিয়েই বাড়ির লোকের চিন্তা । যাইহোক...................।

          পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।





সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 3

        তারপর জয়নাল স্যারের সঙ্গে আমরা প্রথম যে রুমে আলোচনা শুরু হয়েছিলো সেই রুমে যাই । রুমে ঢুকে দেখি আরও তিন জন ছেলে বসে আছে । তাঁদের সঙ্গে পরিচিত হলাম ।তাঁদের মধ্যে একজন ছিল সরলা নামক এক জায়গার (যা আমার বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত) । তাঁর নাম হচ্ছে বুদ্ধদেব সরকার (বুদ্ধ) । বুদ্ধদেবের সঙ্গে কথা বলে নিজেকে আনন্দ পেয়েছিলাম । কারণ আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমাদের এলাকার কোনো ছেলে নেই । একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আচমকা সেই ভদ্রলোক রুমে প্রবেশ করেন । তিনি আমাকে ছাড়া সবাইকে একটি করে কাগজ দিচ্ছিলো । আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে সব লক্ষ্য করছিলাম । বুদ্ধদেবের কাগজটি হাতে নিয়ে দেখি - এটা কোনও সাধারণ কাগজ নয় । ওটা ছিল "এপয়েন্টমেন্ট লেটার" । তারপর সেই ভদ্রলোক আমাকে উদ্দেশ্যে বললেন - আপনার এপয়েন্টমেন্ট লেটার আজকে পাওয়া যায়নি । এই কথা শুনে আমাকে খুব খারাপ লেগেছিলো । পরে অবশ্য বুঝতে পারলাম তিনি আমার সঙ্গে ইয়ার্কি করছেন । শেষ পর্যন্ত তিনি আমাকেও একটি কাগজ হাতে দিয়ে বললেন- " অত চিন্তা করার দরকার নেই , এটিই হল আপনার এপয়েন্টমেন্ট লেটার " । এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে আমি খুব আনন্দিত হয়েছিলাম । তখন আমার মনে অনেক কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল । যেমন এতোদিনে হয়তো ঈশ্বর আমার দিকে তাকিয়েছেন । আমার বাবা মাকে আর মাঠে কাজ করতে হবে না । আমি গরীবের ছেলে হয়ে চাকুরী পাবো এটা কোনোদিনই ভাবিনি । এই কথা ভাবতেই আনন্দে দুই চোখ দিয়ে জল ঝরতে শুরু হয়েছিলো। তারপর সেই ভদ্রলোক আমাদের বললেন - " আপনারা সবাই এপয়েন্টমেন্ট লেটার এ লিখিত জোয়েন্ট এর তারিখে কলকাতা উপস্থিত থাকবেন । এই কথা শুনে আমি বাবাকে ফোন করে সমস্ত কথা বলি । আমার কথা শুনে বাবা-মা দুজনে খুশি হয়ে যায় । তারপর আমি ও প্রভাত দা ধর্মতলায় গিয়ে বাসে চেপে বাড়ির জন্য রওনা দিই । এরপর....................................।

         পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।






বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 2

     কিন্তু কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায় । আমরা ট্রেন ধরতে পারিনি । ট্রেন ততক্ষণে অনেক দূরে চলে গিয়েছে । তারপর আমরা নাইট কোচ বাসের টিকিট কেটে পরের দিন সকালে কলকাতার ধর্মতলায় পৌঁছাই । বাস থেকে নেমে আমি জয়নাল স্যারকে কল করি । তিনি বলেন - " তুমি মেট্রো রেলের তিন নম্বর গেট এ চলে আসো । আমি গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি " । আমরা এক ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তিন নম্বর গেট এ পৌঁছাই । গিয়ে দেখি জয়নাল স্যার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন । আমরা স্যারের সঙ্গে দেখা করি এবং তিনি আমাদের এক লজ এ নিয়ে যান । লজের দোতলার একটি ঘরে আমরা প্রবেশ করে দেখি আরও ছয়জন ব্যক্তি বসে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে । আমরা ঘরে ঢুকতেই সবাই চুপ হয়ে যায় ।  একজন ভদ্রলোক আমার নাম জিঞ্জাসা করে । আমি তৎক্ষণাৎ আমার নাম বলে দিই । তিনি আমাকে একটি সাদা A4 সাইচ্ পৃষ্ঠা দিয়ে বললেন - " আপনার সম্পূৰ্ণ বায়োডেটা এই পৃষ্ঠায় লিখুন " । আমি পৃষ্ঠাটি হাতে নিয়ে লিখতে শুরু করি । লেখা শেষ হলে আমি ওই ভদ্রলোকের দিকে পৃষ্ঠাটি এগিয়ে দিই। ভদ্রলোক পৃষ্ঠা হাতে নিয়ে আমার হস্তাক্ষরের প্রশংসা করলেন । আমি উনাকে ধন্যবাদ জানাই । তারপর ভদ্রলোক জয়নাল স্যারের দিকে তাকিয়ে কিছু ইশারা করছিলেন । আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম । ঠিক সেই সময়েই বলে উঠলেন - " প্রকাশ, তুমি বাড়িতে থাকাকালীন আমি যে কথাটা ফোনে বলেছিলাম সেটা নিয়ে এসেছ " । আমি বুঝতে পারলাম তিনি আমাকে টাকার কথা বলছেন । তারপর আমি ব্যাগ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বের করি এবং  টাকা দেওয়ার আগে আমি জয়নাল স্যারকে বলি  - " স্যার, কষ্ট করে এই টাকাটা জোগাড় করে এনেছি । যাতে বিফলে না যায় । কারণ আমি কিন্তু আপনার ভরসায় টাকা দেব " । তারপর আমি পুরোপুরি স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চাশ হাজার টাকা গুনতি করে জয়নাল স্যারের হাতে দিই । উনি সেই ভদ্রলোকটিকে টাকাগুলি দিয়ে দিলেন । এরপর সেই ভদ্রলোক আমাদেরকে বিশ্রাম নিতে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । তারপর জয়নাল স্যার আমাদের অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন । পুরো রাত বাসে চেপে আসায়  আমি ও প্রভাত দা খুব ক্লান্ত ছিলাম । তাই বিছানায় শোতেই কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি । দূপুর দেড়টা নাগাদ আমাদের ঘুম ভাঙে । তারপর স্নান করে খাবার জন্য নিচে নেমে আসি । খাওয়া সেরে আবার ঘরে গিয়ে বসি । প্রায় বিকাল তিনটে নাগাদ জয়নাল স্যার আমাদের ডাকতে আসে । তারপর..............................।

                   পরের এপিসোডে চোখ রাখুন।





সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB

         তারপর বাবা আমাকে জয়নাল স্যারকে কল করতে বলে । আমি স্যারকে কল করে বলি - " আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেন " । তিনি তৎক্ষণাৎ বলেন - " ঠিক আছে , তোমার বাবাকে মোবাইল দাও " । আমি বাবাকে মোবাইলটি দিতেই বাবা বলেন - " চাকরিটা নিশ্চিত হবে তো "। স্যার বাবাকে বললেন - " আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন কি না ? যদি বিশ্বাস থাকে তাহলে ছেলেকে ৫০০০০ টাকা দিয়ে আজকেই কলকাতায় পাঠিয়ে দেন " । বাড়িতে তো কানাকড়িও নাই । এতো টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে ,তা নিয়ে বাবা চিন্তা করে । আমি বাবা মাকে বলি - " এতো টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় । অতএব স্যারকে না বলে  দাও । বাবা বলে - " মাস্টার তো বললেন চাকরি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না । টাকা জোগাড় করতেই হবে যেন তেন প্রকারেণ । তারপর বাবা আমার ছোট বোন জামাইকে কল করে টাকার কথা বলে । সে ৪০০০০ টাকা জোগাড় করে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে যায় । এরপর আমার মা তাঁর পিসিকে কল করে ২০০০০ টাকার জন্য । মায়ের পিসি অর্থাৎ আমার দাদিমা টাকা আনতে তাঁর বাড়িতে যেতে বলে । বোন জামাই ও আমি দুই জন মিলে মোটরবাইকে চেপে দাদিমার বাড়িতে পৌঁছাই টাকা নেওয়ার জন্য । দাদিমা তাঁর ছোট্ট একটি টিনের বাক্স থেকে ২০০০০ টাকা বের করে আমার হাতে দিয়ে বলে সাবধানে যাবে । দাদিমা আরও বলে - " তোর এই চাকুরীটা হয়ে গেলে তোর বাবা মা একটু শান্তি পায়" । হাতে সময় কম থাকায় আমি দাদিমাকে প্রণাম করে তাড়াতাড় বাড়িতে রওনা দিই । বাড়িতে পৌঁছালে বাবা মাকে বলি - " এখনো অনেক সময় আছে , ভেবে দেখো । কারণ আমার মন যেতে চাইছে না । ব্যাপারটা কেমন যেন তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে " । বাবা আমাকে বলে - " তোকে এত চিন্তা করতে হবে না । টাকা জোগাড় হয়ে গেছে , তুই টাকা নিয়ে কলকাতা রওনা দে " । আমি বাবাকে বলি -" শুধু ৫০০০০ টাকা তো নয় , এখনো ২০০০০০ টাকা জোগাড় করতে হবে । আর এতগুলো টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে "। বাবা আমাকে বলে - " ঈশ্বরেই সব জোগাড় করে দেবেন " । তারপরে আমি প্রভাত দাদাকে কল করি এবং আমাদের বাড়িতে আসতে বলি । সে এসে পৌঁছালে তাকে আমার সঙ্গে কলকাতা যাওয়ার কথা বলি । এরপর আমরা দুই জনে প্রভাত দাদার বাইকে চেপে কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য রওনা দিই । কিন্তু.....................।

পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।






রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

ADMISSION IN AUTOMOBILE ENGINEER

     নেপাল থেকে ফিরে আসার পরে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে আমি অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হই । অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হওয়ার পিছনে অনেক কারণ ছিল । এটা ২০১২সালের ঘটনা ছিল । তখনকার দিনে বি.এ অথবা এম.এ কমপ্লিট করে সরকারি চাকুরী পাওয়া আমার কাছে খুব কঠিন ছিল । যে কোনো চাকুরী নিতে গেলে প্রচুর টাকা ডোনেট দিতে হতো । আর এই টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে "বামুন হয়ে চাঁদে পাড়ি দেওয়ার" মতোই ঘটনা ছিল। কারণ, আমি ছিলাম এক গরীব পরিবারের সন্তান। চাকুরী যদি না হয় তাহলে আমার পক্ষে পরিবারকে চালানো সম্ভব হবে না ।  তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এই পড়াশোনার পাশাপাশি কোন হাতের কাজ শিখে রাখি , যা আমার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে । এই জন্য আমি অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হই। যদি চাকরি না পাই তবে কোন অটোমোবাইল কোম্পানীতে কাজ করে পরিবারের খরচ চালিয়ে নেবো । কিন্তু আমার এই স্বপ্নও পূরণ হয়নি । আমি বি.এ. পড়ার জন্য টিউশন পড়িয়ে খরচ চালাতাম  তা আমি আগেই বলেছি। 

        একদিন বদলপুর (বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূর) টিউশন পড়িয়ে চকপাড়া হয়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম । এমন সময় আমার মোবাইল এ একটি কল আসে । পোকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি জয়নাল স্যার (পুরো নাম- জয়নাল আবেদীন, বাড়ি- কামালদিন , তিনি আমিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের পার্শ্ব শিক্ষক ) কল করেছেন । জয়নাল স্যারের সঙ্গে কিছু দিন আগে চাকুরীর ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছিলো । কিন্তু আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় সেই চাকুরীতে জোয়েন্ট হতে পারিনি। আমি কল রিসিভ করতেই জয়নাল স্যার বললেন - "তোমার জন্য একটি সূখবর আছে " । এই কথা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই । তারপর আমি স্যারকে বললাম - " আগে সুখবরটা তো বলেন শুনি "। তিনি বললেন -" ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চাকুরী করবে ? যদি করতে চাও তাহলে আজকের মধ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে কলকাতা চলে আসো । আমি কলকাতায় আছি "। আমি স্যারকে বললাম - " মোট কত টাকা দিতে হবে "? তিনি বলেন - " মোট দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা দিতে হবে" । আমি স্যারকে বলি - " এতো টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় । আমি বাড়িতে গিয়ে আগে বাবা মাকে বলি , উনারা কী বলেন । পরে আপনাকে কল করে জানাচ্ছি "।তিনি বলেন - " ঠিক আছে , তুমি বাড়িতে গিয়ে পৌঁছালে আমাকে কল করবে " । আমি -" ঠিক আছে স্যার । এই বলে কলটি কেটে দিই "। বাড়িতে পৌঁছালে বাবা মাকে সব কথা খুলে বলি। তারপর .............। পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।




মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

RETURN FROM NEPAL

         আমি নেপাল গিয়েছিলাম টাকা উপার্জন করতে । কিন্তু টাকা উপার্জন করা তো দূরের কথা, কেমন যেন সব পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল । আমি চাইছিলাম মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করে নতুন ভাবে কলেজ ভর্তি হব। আর পড়াশোনা চালিয়ে যাব । যাতে আর টাকা টাকা না বলতে হয়। তবে তা আর হলো না । এক মাসের মধ্যেই আমাকে বাড়ি ফিরে আসতে হয় । এরপর আবার নতুন করে টিউশন পড়াতে শুরু করি, আমার পড়াশোনার খরচ চালাতে । এই টিউশন পড়াতে গিয়ে দেখি আমার পড়াশোনার ঘাটতি হচ্ছে । কারণ টিউশন পড়িয়ে নিজের পড়া করতে খুববেশি অসুবিধে হচ্ছিল । আমার নিজের পড়ার জন্য আমিও টিউশন নিলাম কলেজের এক প্রফেসরর কাছে । স্যার এর নাম হল - নারায়ণ সরকার, বাড়ি মহারাজ পুর , গঙ্গারামপুর, দঃ দিনাজ পুর । তিনি আমাকে বললেন - গতবছর হঠাৎ করে হারিয়ে গিয়েছিলে কেন ? আর পরীক্ষাই বা দিলে না কেন ? আমি স্যারকে আমার দুর্ঘটনার কথা বলে দিই। তিনি আমাকে বলেন -ভালো করে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দাও । তারপর আবার আগের মতোই পড়াশোনা শুরু করলাম । কিন্তু এই সময় আমার জীবনে আর এক সমস্যা চলে আসে  ????? সমস্যাটি জানতে পরের এপিসোড এর জন্য অপেক্ষা করুন ।






রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

NEXT PART OF NEPAL JOURNEY

            দুই রাত দুই দিন হোটেলে কাটিয়ে আমাদের বিরক্তিকর লাগে । আমরা সবাই মিলে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে অনুভব করি । যেখানে আমাদের কাজ করতে নিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে যাওয়ার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা ঠিকাদারের কাছে ছিল না । কোম্পানির মালিক টাকা পাঠাতে দেরি করছিলেন । ১৫ জনের থাকা ও খাওয়া নিয়ে নেপালের টাকায় ১৮০০০ টাকা হোটেল বিল উঠেছিল । তারপর আমরা পরিকল্পনা করি যে - আজকেই যখন এত টাকার সমস্যা, তবে ঠিক মতো বেতন দিতে পারবে কিনা সন্দেহ হচ্ছিল । তাই আমরা ঠিকাদারকে ফাকি দিয়ে হরিয়ানা যাব কাজ করতে । পরিকল্পনা মাফিক আমরা ৭ জনের মধ্যে ৫ জন যথাক্রমে- আমি, দিপক, বাবলু, সুমীন (ভীম) ও জীবন রায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হই । কিন্তু দুই জন যথাক্রমে- বিষ্ণু ও গৌরাঙ্গ পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিল । অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম ওদের জন্য । কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি ঐ দুই জনের । কিছুক্ষন পর বাবলুর মোবাইল এ একটি কল আসে । কল রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে বলছে - তোমরা কোথায় আছো ? তাড়াতাড়ি চলে আসো । তোমাদের দুই জন ছেলের মধ্যে এক জন কান্না করছে । কান্নায় আমরা সবাই বিষ্ণুর গলার আওয়াজ শুনতে পাই । তারপর আবার আমাদেরকে ফিরে আসতে হয় । ফিরে এসে দেখি হোটেলে কেউ নেই । হোটেল মালিকের কাছে জানতে পারি ওরা সবাই গাড়ি চেপে বিত্তা মোড়ে পৌঁছে গিয়েছে । আমরাও ৫ জনই অটো গাড়িতে চেপে বিত্তা মোড়ে পৌঁছে দেখি সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে । তারপর বাসের টিকিট কেটে নিলাম নেপালের রাজধানী শহর কাঠমুন্ডু যাওয়ার জন্য । পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে দেখে আমি অবাক হয়ে যাই । দৃশ্যগুলিও দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল । পরের দিন সকালে আমরা কাঠমুন্ডু পৌঁছাই । একটি চায়ের দোকানে বসে চা-বিস্কুট খেলাম । এরপর কাঠমুন্ডু থেকে বাস ধরে থোসে বাজার নামক জায়গায় পৌঁছাই রাত আট- টা নাগাদ । আমি মাস খানেক ধরে কাজ করে বাড়ি ফিরে আসি । টাকা উপার্জন করতে গিয়ে বিফল হয়ে ফিরে আসি । কারণ ঐ সময় বাড়িতে কলকাতা পুলিশের শারীরিক পরীক্ষার জন্য এডমিট কার্ড পৌছায় । কিন্তু আমার ভাগ্য খারাপ, আমি সঠিক সময়ে বাড়ি ফিরতে পারিনি এবং আমার এডমিট কার্ডও সঠিক সময়ে পোস্ট করা হয়নি৷ অন্যদিকে পড়াশোনাও ডুবে যায় .................??????? পরের এপিসোড এ চোখ রাখুন। 






শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

NEPAL JOURNEY FOR EARN MONEY

      কালিয়াগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এ আমরা সময়মতো পৌঁছে যাই । কিন্তু তখন পর্যন্ত ঠিকাদার এসে পৌঁছয়নি । ফলে আমরা সবাই মিলে কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশন এ ঘুরতে যাই। স্টেশনের ভিতরে ঢুকে বসে ছিলাম । এমন সময় আমার নজর যায় একটি মেয়ের দিকে । মেয়েটি দেখতে খুব সুন্দর , আন্দাজ করলে সে ১৫ বছরের একজন যুবতী । আমি তাকে বার বার স্টেশনের ভিতরে এপাশ থেকে ওপাশ ঘুরাঘুরি করতে দেখে অবাক হয়ে যাই ।  আমি ভালোভাবে ব্যাপারটি পর্যবেক্ষন করে বুঝতে পারি মেয়েটির ঘুরাঘুরির রহস্য । মেয়েটি রেল কর্তৃপক্ষের এক বিহারী পুলিশ কনস্টেবলকে ইশারা করছিল । ইতিমধ্যেই ঠিকাদার এসে পৌঁছয় বাস স্ট্যান্ড এ । আর সেই দৃশ্যটি দেখা হল না । খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে পৌছলাম । তারপর কালিয়াগঞ্জ থেকে সাফারী গাড়িতে চেপে রায়গঞ্জ সরকারি বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছাই। সেখান থেকে শিলিগুড়ি গামী বাসে চড়ে পানী টেঙ্কি গিয়ে সবাই নেমে পড়ে । কিন্তু ঠিকাদার ও আমাকে বাস থেকে টিকিট কালেকটর নামতে দেয়নি । পরে আমি কারণটি বুঝতে পারি। ঠিকাদার সবার বাস ভাড়া দিতে পারেনি । পরে ঠিকাদার তাঁর নিজের মোবাইলটি টিকিট কালেকটরকে দিয়ে দেয় বাস ভাড়ার দরুন । তারপর আমরা পানী টেঙ্কি থেকে নেপালের কাঁকরাভিটা নামক জায়গায় পৌঁছে একটি হোটেলে রাত্রী যাপনের জন্য আশ্রয় নিই। সেই রাতে খাবার খেয়ে সবাই নিজ নিজ বিছানায় শুয়ে পড়ি। এইভাবে আমাদের দুই রাত দুই দিন হোটেলেই থাকতে হয়????? বাকি অংশটি আগামী কাল শেয়ার করব  ।






বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১

EARN MONEY

      ফাস্ট ইয়ার পাশ করার পর সেকন্ড ইয়ারে ভর্তি হই । কিন্তু ঠিক সেই সময় একটি ঘটনা ঘটেছিল আমার। বাবা আমাকে বলে দিলেন যে - " যদি তুমি পড়াশোনা করতে চাও তাহলে টাকা উপার্জন করে পড়ো । আমি তোমার পড়াশোনার খরচ করতে পারব না "। বাবার এই কথা বলার পিছনে এক বিশেষ রহস্য ছিল । কারণ আমার বোন তখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। হয়তো এখানে আর খুলে বলার দরকার নেই সেই রহস্যের কথা । আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। বাবার কথা শুনে আমাকে খুব খারাপ লাগে । তারপর দুই তিন দিন এইভাবে সময় অতিবাহিত হয় । কোনো কিছুই ভাল লাগছিল না । তবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে আমি একটি উপায় বের করি । আগে আমাকে টাকা উপার্জন করতে হবে , তারপর পড়াশোনা করব। কখনো আবার ভাবতাম - যদি কোনও এক মহান ব্যক্তি আমার পড়াশোনার খরচ চালাত, তাহলে আমি কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতাম । পরক্ষনেই আবার ভাবি যে এইরকম ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন । এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে কালী মন্দিরের বারান্দায় গিয়ে বসে আছি । কিছুক্ষণ পর সেখানে গ্রামের ছেলেরা, যথাক্রমে- বাবলু রায়, সুমীন সরকার (ভীম), দীপক রায়, বিষ্নু রাজবংশী ও আমার সেজো মাসীর ছেলে গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এসে হাজির হয় । বাবলু আমাকে বলে - একাই বসে বসে কী ভাবছিস ? আমি আমার বিষয়টা বাবলুকে খুলে বলি। সে আমাকে বলে আমরা সবাই মিলে নেপাল যাচ্ছি প্লাই বোর্ডের কোম্পানীতে কাজ করতে । যদি তুই যেতে চাস তাহলে আমাদের সঙ্গে আসতে পারিস । আমিও ভাবলাম প্রস্তাবটি কার্যকর করা সম্ভব । পরেরদিন আমরা সবাই মিলে ঠিকাদারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম । ঠিকাদার বলল - আপনারা সবাই আসতে পারেন , কোনও সমস্যা হবে না । তবে তারিখ অনুযায়ী কালিয়াগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পৌঁছে যেতে হবে। বাকি অংশটি জন্য পরের এপিসোড এ চোখ রাখুন। 















মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১

FIRST YEAR IN B.A.

          কলেজ ভর্তি হওয়ার পর প্রথমে ঠিক কিছুই বুঝতে পারছিলাম না । ক্লাস রুটিন হাতে থাকা সত্ত্বেও কখন কোথায় আমার ক্লাস হচ্ছে তা বুঝতে পারতাম না । আমি সিনিয়রদের কাছে শুনতাম ফাস্ট ইয়ার মানে ডন্ট কেয়ার । তাই খেয়াল খুশি মতো কলেজ পৌঁছাতাম । এইভাবে এক মাস অবধি অনার্সের ক্লাস করতে পারিনি। আমি কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ১০:৩০ এ এম নাগাদ বের হতাম আর কলেজ গিয়ে পৌঁছাতাম ১২ টা নাগাদ। ফলে আমি আমার অনার্সের ক্লাসগুলিতে উপস্থিত থাকতে পারতাম না । এইভাবে আরও বেশ কিছু দিন কেটে যায়। তারপর একদিন কলেজ প্রিন্সিপল পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আমার কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেয়। পোস্ট মাস্টার বাজারের মধ্যে বাবার হাতে চিঠিটি দিয়ে দেন। বাবা বাড়িতে আসলে আমাকে বলে -"তোর নামে চিঠি আছে "। আমি তো প্রথমে অবাক হয়ে যাই যে কোথা থেকে এল ? চিঠিখানা হাতে নিয়ে খুলে দেখি -গঙ্গারামপুর কলেজ থেকে পাঠিয়েছে । চিঠিতে লেখা আছে আমাকে প্রিন্সিপলের সাথে দেখা করতে হবে । আমি চিঠিতে লেখা তারিখ অনুযায়ী প্রিন্সিপলের সাথে দেখা করি। প্রিন্সিপল আমাকে বলেন -" তুমি সংস্কৃত অনার্স নিয়েছো আর কলেজে আসো না কেন "? আমি মহাশয়াকে বললাম - "আমি তো প্রতি দিন কলেজ আসি ।" ম্যাডাম বললেল -" তাহলে তুমি ক্লাস করো না কেন ?" আমি ম্যাডামকে বললাম - " আমি ক্লাস করি, কিন্তু ক্লাসের রুটিন বুঝতে পারছি না। কোন্ সময় ,কোন্ ক্লাস, কোন্ ঘরে হচ্ছে , তা কিছুই বুঝতে পারছি না৷ " তারপর ম্যাডাম আমাকে রুটিনটি বুঝিয়ে দিলেন । তারপরের দিন থেকেই শুরু হয় আমার ফাস্ট ইয়ারের পড়াশোনা। পরে টিউশন নিলাম এবং প্রতিটি ক্লাসে উপস্থিত থাকতাম । পড়াশোনাও ঠিকঠাক ভাবে চালিয়ে যেতে থাকি । সপ্তাহে দুদিন টিউশন ছিল । যেদিন টিউশন থাকত সেই দিন সকাল ৬টার মধ্যে পান্তাভাত কিংবা কোনও দিন মুড়ি চানাচুর খেয়ে বেরিয়ে পরতাম এবং সমস্ত ক্লাস করে বাড়ি ফিরতাম সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ।ফলে আমার শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে । একদিন তো পেটের সমস্যায় পড়ে শ্বাসপ্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটে। মনে হচ্ছিল মরেই গেলাম নাকি। আর একটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছি - আমার টিউশন ফি দিতে বাবার প্রচন্ড চাপ হচ্ছিল বলে আমিও টিউশন পড়াতে শুরু করি । এইভাবে খুব কষ্টে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকি। বছর শেষে বার্ষিক পরীক্ষা চলে আসে । কিন্তু ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে দেখি আমার ইলেক্টিভ বিষয়গুলি পরিবর্তন হয়ে গেছে । তা দেখে আমার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় । কারণ পরীক্ষা হতে আর মাত্র এক মাস বাকি রয়েছে , আর এর মধ্যে অজানা বিষয় পড়ে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রিন্সিপলকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন-"আমি তোমাকে সাহায্য করব কোনও সমস্যা হবে না "। আমি ম্যাডামকে কোনও কিছু না বলে অফিস থেকে বেরিয়ে যাই। আর নিজের ভাগ্যের উপর দোষ চাপিয়ে দিই৷ তারপর পরীক্ষা শুরু হয়। সব বিষয় পরীক্ষা দেওয়া শেষ হলে কিছুদিন পরে রেজাল্ট বের হয় এবং আমি অনার্স বিষয়ে ৪৯ শতাংশ হারে নম্বর পেয়ে পাশ হয়ে যাই। বাকি অংশটির জন্য পরের এপিসোডে চোখ রাখুন। ???????






সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

ADMISSION IN B.A.

     উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তির পালা । আমি ভূগোল বিষয়ে অনার্স নিয়ে পড়তে চেয়েছিলাম। তাই আমি তিনটি কলেজ , যথাক্রমে- হরিরামপুর দেওয়ান গিনি কলেজ, গঙ্গারামপুর কলেজ ও বালুরঘাট কলেজে ভর্তির ফর্ম পূরণ করেছিলাম। প্রতি কলেজে দুটি করে বিষয়ে অনার্সের জন্য আবেদন করি। বিষয়গুলি হল ভূগোল,সংস্কৃত । কিন্তু অনার্স নিয়ে পড়তে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন । তবুও বাবা দুই কুইন্টাল ধান বিক্রি করে আমাকে টাকা দেয় । কিন্তু হরিরামপুর কলেজ ও বালুরঘাট কলেজে একই তারিখে কাউন্সিলিং শুরু হয় । আমি ভাবছিলাম হরিরামপুর আমার বাড়ি থেকে কাছে হবে আর বালুরঘাট অনেক দুরে । তাই আমি হরিরামপুর কলেজে ভূগোল বিষয়ে কাউন্সিলিং এ উপস্থিত হই ।তবে সেখানে আমার চান্স পাইনি। কারন আমাদের স্কুলের আর এক বন্ধু আমার সমান নম্বর পেয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বন্ধুটি চান্স পেয়ে যায়। আমি নিরাশ হয়ে ফিরে আসি বাড়িতে । পরে অবশ্য এক বন্ধুর দ্বারা জানতে পারি যে বালুরঘাট কলেজের কাউন্সিলিং এ আমার নাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আমি তো তখন হরিরামপুর কলেজে । পরবর্তীতে গঙ্গারামপুর কলেজেও ভূগোল বিষয়ে চান্স পাইনি। শেষ পর্যন্ত সংস্কৃত বিষয় নিয়ে ভর্তি হয়ে যাই। শুরু হয় বি এ ক্লাসের ফার্স্ট ইয়ারের পড়াশোনা। বাকি অংশটি পরের এপিসোড এ। ধন্যবাদ৷???????????





শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১

HARD WORK FOR READING

      প্রেমে তো সাকসেসফুল হতে পারলাম না কিন্তু আমি লেখাপড়ায় সাকসেসফুল ছিলাম । শিকতার কথায় আমি নিজেকে অপরাধী হিসেবে তুলে ধরলেও ভেঙ্গে পরিনি । আমি ভাবছিলাম যে আমার সঠিক ভালবাসার সঙ্গীনীর সাথে দেখা হয়নি৷ নিজেকে তৈরি করছিলাম পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য । কিছুদিন পর প্রি-টেস্ট চলে আসে । টেস্ট দিতে গিয়ে দেখি , আমার যে ঘরে সিট পড়েছে সেই ঘরেই শিকতারও সিট পড়েছে। আমার একটি ব্রেঞ্চ আগে । আর একটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছি - আমি দ্বাদশ শ্রেণি আর শিকতা পড়ত দশম শ্রেণি । পরীক্ষা সেন্টারে শিকতাকে দেখে খুব আনন্দে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। তাকে দেখলে আমার চোখের পাতা এক হতো না । মনে হচ্ছিলো আমার সামনে যেন অপরূপ এক পরী বসে আছে। প্রতিনিয়ত দেখলেও যেন দেখার আকাঙক্ষা মিটে যায় না। তারপর সব বিষয় পরীক্ষা দেওয়া শেষ হল। রেজাল্ট বেরোল। এরপর আর শিকতার সঙ্গে কোনোদিন দেখা হয়নি৷ বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হল। এক এক করে সব বিষয়গুলির পরীক্ষা শেষ হল। প্রতিটি বিষয় খুব ভাল পরীক্ষা দিয়েছিলাম । আশা ছিল স্টার মার্কস নিয়ে পাশ করবো । রেজাল্ট বেরোলে দেখি মাত্র ১৯ নম্বরের জন্য স্টার মার্কস পাইনি৷ খাতা পূণরায় দেখতে চাইলে সিনিয়রদের কাছে জানতে পারি মার্কস কমে যায় ।  আমি ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৩৫৬ নম্বর পেয়েছিলাম । শতকরা হিসাবে ৭১.২ শতাংশ । আজ আর নয় , আবার পরের এপিসোড এ দেখা হবে। ধন্যবাদ।���������??




বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১

DIVINE OF LOVE

     ভালবাসা যে কী ? তা একমাত্র প্রেমিক প্রেমিকারাই ভালো বলতে পারে । আগে আমিও এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। কিন্তু কাউকে ভালবাসার পর আমি এই শব্দটির তাৎপর্য বুঝতে পারি । যাকে আমি ভালবাসতাম তাকে একদিন না দেখতে পেলে নিজেকে খুব শুণ্য মনে হতো । আমাদের স্কুলে "টিচার্স ডে" উৎযাপনের দিন শিকতাদের ক্লাসরুমে আমার ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঐ দিনই আমার সাইকেল খারাপ হয়ে যায়। ফলে স্কুল পৌঁছাতে অনেক দেরি করে ফেলি। এতে আমার আর ক্লাস নেওয়া হয়নি । তারপর আমি নিজের ক্লাসরুমে গিয়ে অনেক ক্ষন বসে থাকলাম। নিজেকে অপরাধী বলে মনে হচ্ছিলো । ঠিক সেই সময় ক্লাসমেট রাজীব ক্লাসরুমে ঢুকে আমাকে বলল বন্ধু তুই দেরিতে আসায় তোর ক্লাসটি আমাকে নিতে হয়। আমি কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়ালাম । অনুষ্ঠান শুরু হলে নিচে নেমে জয়ন্ত,বিপুল ও মিঠুন এর সঙ্গে দেখা হয়। আমি এককোণে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম । আর প্রোগ্রাম দেখছিলাম। আমি আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে "টিচার্স ডে"-তে শিকতাকে প্রপোজ করে দেব। আমি শিকতার সঙ্গে কথা বলার জন্য সুযোগ খুঁজছিলাম । কিছুক্ষণ পর সেই সুযোগ পেয়ে গেলাম। আমি তার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই শিকতা চমকে উঠে। আমি শিকতাকে আমার ভালবাসার কথা বলতেই  প্রথমে সে লজ্জিত হয়ে যায়। কিন্তু আমি তার উত্তরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। শিকতা আমাকে কোনো খারাপ কথা বলেনি । আমাকে শুধু একটাই কথা বলল-" তুমি অনেক দেরি করে দিয়েছ এই কথাটা বলতে ।অতএব আমার কিছু করার নেই। আমি অন্য কাউকে ভালবাসি ।" এই কথা শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছিলো । তবে আমি শিকতাকে বলেছিলাম যে- আমি তোমাকে ভালবাসি আর ভবিষ্যতেও ভালবাসব। ওই দিন শিকতার কথা শুনে পুরোদিন নিজেকে অপরাধী বলে মনে হচ্ছিলো। কারণ আমার কপালটাই খারাপ , কোনো কাজে সফল হতে পারি না । বাকী অংশ পরের এপিসোড এ। ধন্যবাদ৷ ������������������




















     What is love?  Only lovers can say that well.  I didn't know anything about this before.  But after loving someone I can understand the meaning of this word.  If I didn't see the one I loved one day, I would feel very empty.  I was supposed to take my class in Shikta's classroom on the day of "Teacher's Day" celebration in our school but my bicycle broke down that day.  As a result, it was too late to reach the school.  I did not take any more classes.  Then I went to my classroom and sat for a long time.  I felt guilty.  Just then classmate Rajeev entered the classroom and told me, friend, I have to take your class because you are late.  I just shook my head without saying anything.  When the ceremony started, Jayant, Bipul and Mithun went downstairs and met him.  I stood silently in one corner.  And watching the program.  I had already decided that I would propose to Shikta on "Teacher's Day".  I was looking for an opportunity to talk to Shikta.  After a while I got that opportunity.  As soon as I stood in front of her, Shikta was startled.  At first she was embarrassed when I told Shikta about my love.  But I was waiting for his answer.  Shikta didn't say anything bad to me.  She told me only one thing - "You are too late to say this. So I have nothing to do. I love someone else."  I was very upset to hear this.  But I told Shikta that I love you and will love you in the future.  Hearing about Shikta that day, I felt guilty all day long.  Because my fortune is bad, I can't succeed in anything.  The rest is in the next episode.  Thank you .






MY NEW LIFE IN H.S.

        আমি একটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছি কলকাতা থেকে আসার আগে পর্যন্ত আমার ভালবাসা শিকতার কথা খুব মনে পড়ছিল।আমি চাকুরী ছেড়ে আসার পিছনে শিকতার অবদান রয়েছে অতুলনীয়। এছাড়াও আমারও খুব একটা ভালো লাগছিলো না । কারণ কথা মতো আমাদের কাজ হয়নি তা আমি আগেই বলেছি। আমি প্রতিটি মুহূর্ত শিকতার কথা ভাবতাম। আমি কলকাতা থেকে বাড়িতে আসার আগেই আমার বন্ধু জয়ন্ত,বিপুল ও মিঠুন দুইদিন আগেই বাড়িতে পৌঁছায়। আমিও ফিরে আসার পর সবার সঙ্গে দেখা হল । ইতিমধ্যে শুনলাম আমাদের স্টাইপেন্ড এর টাকা একাউন্টে ঢুকে গেছে । আমি বন্ধুদের বললাম তাহলে চল ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নিয়ে আসি। তারপর ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে আমার সিগনেচার মিলছে না। ক্যাশিয়ার বলল তুমি ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা কর। ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিগনেচার কপি করে টাকা তুলে নিলাম। ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি ফেরার পথে নওপাড়া নামক জায়গায় গিয়ে রসগোল্লা ও পাউরুটি সহ স্প্রাইট খেলাম ।তারপর বাড়ি এসে পৌঁছাই বিকাল ৪ টে নাগাদ। পরেরদিন স্কুলে গিয়ে হেডমাস্টারের সঙ্গে দেখা করে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ভর্তি হলাম। আমার সব ক্লাসমেট টিউশন নিয়ে সিলেবাস শেষ করে দিয়েছে আর তখনও আমি শুরু করিনি । টিউশন পড়তে গেলে টিউশন মাস্টার পড়াতে চান না। তারপর জোড় করে বংশীহারি "মর্ডান কোচিং সেন্টারে" পড়তে শুরু করি। টিউশন মাস্টার বলে এতদিন তুমি কী করছিলে? আমি আমার পূর্বের ঘটনাগুলো শেয়ার করি মাস্টারের সঙ্গে। তিনি বলেন- সিলেবাস শেষের দিকে তুমি যদি পড়তে পারো তাহলে সময়মতো কোচিংয়ে আসতে হবে। আর মাসের এক তারিখের মধ্যে ২৫০ টাকা করে দিতে হবে। আমি রাজি হয়ে গেলাম । সেখানে বন্ধু দিলীপ মার্ডী ও আমি টিউশন পড়তে যেতাম । আর বাকী বন্ধুরা বিভিন্ন নামিদামী মাস্টারের কাছে পড়ত। আমার পক্ষে বেশিদিন টিউশন পড়া সম্ভব হয়নি । কারণ আমার বাড়ি থেকে বাবার টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছিলো না। তিন মাসের মতো টিউশন পড়েছিলাম । তারপর বাড়িতেই সময়মতো লেখাপড়া করতে লাগলাম আর কোনো সমস্যা হলে স্কুলের শিক্ষকদের কাছে সমস্যাটি তুলে ধরতাম। এইভাবেই চলত আমার পড়াশোনা। আমার জীবন কাহিনী জানতে পরের এপিসোড এ চোখ রাখুন। ধন্যবাদ৷��������������������














   

   I forgot to mention one thing. Before coming from Kolkata, I was very much reminded of my love Shikta. Shikta's contribution behind my leaving my job is incomparable.  I also didn't like it very much.  Because I have already said that we did not work as promised.  I was thinking of learning every moment.  My friends Jayant, Bipul and Mithun arrived home two days before I came home from Kolkata.  I also met everyone when I came back.  I have already heard that our stipend money has entered the account.  I told my friends then let's withdraw the money from the bank.  Then when I went to the bank to withdraw money, my signature did not match.  The cashier said you meet with the manager.  I contacted the manager, copied the signature and withdrew the money.  On the way home from the bank, I went to a place called Naopara and ate Sprite with rasgolla and bread. Then I reached home at 4 pm.  The next day I went to the school and met the headmaster and got admitted for higher secondary.  All my classmates finished the syllabus with tuition and even then I didn't start.  If you want to study tuition, you don't want to teach tuition master.  Then I started reading Banshihari "Modern Coaching Center".  What have you been doing for so long as a tuition master?  I share my previous events with the master.  He said- if you can read towards the end of the syllabus then you have to come to coaching on time.  And within one date of the month you have to pay 250 rupees.  I agreed.  There my friend Dilip Mardi and I used to go for tuition.  And the rest of the friends used to study with various famous masters.  It was not possible for me to study tuition for a long time.  Because it was not possible to raise my father's money from my house.  I studied tuition for about three months.  Then I started studying at home on time and if there was any problem I would raise the issue with the school teachers.  This is how my studies went.  Keep an eye on the next episode to know my life story.  Thank you.




মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১

FINALLY I GET A JOB

 সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বিপুল নামক বন্ধুর জোড়া কে যেন নিয়ে গেছে । তারপর সবাই ব্রাশ করে ফ্রেস হয়ে গেলাম ।বন্ধু বিপুল সরকার ফুটপাথের দোকান থেকে জুতো কিনে নেয় । আমাদের যাত্রা শুরু হয় আবার সেই বিড়লা মন্দির এর উদ্দেশ্যে। পরের দিন ঝড় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পায়ে হেঁটে বিড়লা মন্দির পৌঁছে অফিস খুঁজে বের করি। কিন্তু তখনও অফিস বন্ধ। তারপর আমরা রোডের ধারে বসে থাকলাম যতক্ষণ না অফিস খুলছে। খিদাও লেগেছে খুব। আগের দিন রাতে যে চিড়া খেয়েছিলাম তার কিছু অংশ ব্যাগে ভরে রেখেছিলাম। সেগুলি বের করে খেয়ে কিছুটা শান্তি পেলাম। এরপর অফিস থেকে কেউ একজন এসে আমাদের ডেকে নিয়ে যায়। অফিসের ভিতরে ঢুকে দেখি শুধু একটা টেবিল ও একটি চেয়ার আছে। আর সেখানে একজন ভদ্রলোক বসে আছেন। তিনি আমাদের উদ্দেশ্য করে বলেন নিজের নিজের জুতোর সাইচ্ ও নাম লিখে দিতে। উনার কথা মতো সব লিখে দিলাম । সবাইকে একটি করে সাদা চিঠির খামে নিজের নিজের কাগজপত্রসহ আমাদের হাতে দিলেন এবং বললেন খামগুলো হাতে ধরে শিয়ালদহ ওভার ব্রিজের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে। আমরা শিয়ালদহ পৌঁছে উনার কথা মতো দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিছুক্ষণ পরে দুই জন ব্যক্তি এসে আমাদের এক দোকানে নিয়ে গিয়ে ইউনিফর্ম ও সু কিনে দেয়। তারপর টেংরা নামক জায়গায় নিয়ে গিয়ে দুপুরের খাবার খাইয়ে একটি অফিসে নিয়ে যায় । ওখানকার অফিসার আমাদের দুজন করে আলাদা করে দেন। চার বন্ধুর মধ্যে আমি ও মিঠুন আর বিপুল ও জয়ন্ত। এরপর আর আমাদের দেখা হয়নি মাসখানেক। আমার ও মিঠুন এর ডিউটি পড়ে কলকাতার গোলপার্ক এর আকাশ টাওয়ার নামক বিল্ডিঙে। আমাদের সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ করার কথা ছিল  এবং বেতন ১২০০০ টাকা কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতে হয়। আর বেতন দেয় ২৫০০ টাকা ।আমাকে খুব খারাপ লাগে, ফলে নতুন করে স্কুল ভর্তি হওয়ার জন্য বদলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপদ তারণ কবিরাজ মহাশয়কে কল করে বলি - আমার দুর্দশার কথা । এই কথা শুনে তিনি আমাকে বাড়ি ফিরে আসার কথা বলেন। আমি স্যারকে ধন্যবাদ জানিয়ে কল কেটে দিই।  বাকি পরের এপিসোড এ চোখ রাখুন। ধন্যবাদ৷ @@##₹₹%%








I woke up in the morning and saw who had taken a pair of friends named Bipul.  Then everyone brushed and became fresh. Friend Bipul Sarkar bought shoes from the sidewalk shop.  Our journey started again for the purpose of that Birla temple.  The next day the storm stopped completely.  I reached Birla temple on foot and found the office.  But the office is still closed.  Then we sat on the side of the road until the office opened.  I like hunger too.  I put some of the chira I had eaten the night before in a bag.  I took them out and got some peace.  Then someone from the office came and called us.  I entered the office and saw that there was only a table and a chair.  And there's a gentleman sitting there.  He told us to write the names and sizes of our own shoes.  I wrote everything as he said.  He handed each of us a white letter envelope with his own papers and told us to stand by the Sealdah Over Bridge holding the envelopes in hand.  When we reached Sealdah, we stood as he said.  After a while two people came and took us to a shop and bought uniforms and su.  Then he took her to a place called Tengra, had lunch and took her to an office.  The officer there separated the two of us.  Among the four friends, me and Mithun and Bipul and Jayant.  After that we did not meet for a month.  Mithun and I went on duty in the building called Akash Tower in Goalpark, Kolkata.  We were supposed to be hired as supervisors and the salary was Rs 12,000 but in the end we had to work as security guards.  And the salary is 2500 rupees. I feel very bad, so I called Badalpur High School headmaster Bipad Taran Kabiraj Mahasaya to get admission in the new school - tell me about my plight.  On hearing this, he told me to return home.  I cut the call thanking sir.  Keep an eye on the rest of the next episode.  Thank you  ## ₹₹ %%





সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১

RANAGHAT TO BIRLA MANDIR JOURNEY

     আমরা প্রায় ঘন্টা খানেক ট্রেনে বসেছিলাম। একদিকে এই বিধ্বংসী ঝড়ের দাপট  এতোই যে মনে হচ্ছিল পুরো ট্রেনটিকে উল্টে দেবে । অন্যদিকে আমাদের সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে হবে । কিছুদিন পরে জানতে পারি এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছিলো "আয়লা"। তারপর অন্য একটি ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আমাদের ট্রেনের সকল যাত্রী ওই ট্রেনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশনে পৌছালে ঘড়িতে তখন পাঁচটা বাজে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ৪৫বি নম্বর বাস ধরে বিড়লা মন্দির পৌঁছাই। তারপর টেলিফোন বুথ থেকে লিখে দেওয়া মোবাইল নম্বর এ কল করি। কিন্তুকোনো লাভ হল না। কারণ যে ব্যক্তিকে কল করি , তিনি বলেন এখন অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপনারা আগামীকাল সকাল ১০ টায় অফিসে আসবেন। এই কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। কল শেষ করে বেরোতেই অন্য একটি ছেলে ঐ নম্বরেই কল করতে যাচ্ছে। আমি ছেলেটিকে জিঞ্জাসা করলাম তুমি কি রানাঘাটের "অনামিকা কনসাল্ট এজেন্সী" থেকে এসেছ ? ছেলেটি বলে- হ্যাঁ আমরা চারজন এসেছি। তারপর আমি তাকে বললাম -এখন অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাই সকাল ১০ টায় অফিসে আসতে বলে। তখন ঘড়িতে ৭ টা বেজে গিয়েছে। ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন কী করব আর কোনও উপায় মাথায় আসছিলো না আমাদের। পরে সকলে মিলে একটি সিদ্ধান্ত নিই লজ এ থাকার জন্য। কিন্তু লজ ভাড়া খুব বেশি হওয়ায় আমরা লজ এ থাকতে পারলাম না। কারণ কারো পকেটে তেমন টাকা ছিল না। এরপর আমরা সবাই মিলে বিড়লা মন্দির থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার হেঁটে আবার শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছাই রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ । পেটে প্রচন্ড ক্ষুধার জ্বালা। আর এক দিকে ঝড়ের দাপট। চারিদিকে গাছপালা এলোমেলোভাবে পড়ে রয়েছে। স্টেশনের ভিতরে ঢুকে এক জায়গায় পেপার বিছিয়ে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ঘুম আসে না ক্ষুধার জ্বালায়। তারপর দোকান থেকে এক কেজি চিড়া কিনে নিয়ে আসি এবং চার জন মিলে ভাগ করে খেয়ে ঘুমিয়ে যাই। বাকি অংশ আজ আর লিখলাম না । এর জন্য পরের এপিসোড এ চোখ রাখুন। ধন্যবাদ৷।।।।।।।










         We sat on the train for about an hour.  On the one hand, the force of this devastating storm was such that it seemed that it would overturn the whole train.  On the other hand we have to arrive in time.  A few days later I found out that this storm was named "Ayla".  Then another train arrives at the scene and all the passengers of our train get on that train.  When the train reached Sealdah station from the spot, it was five o'clock.  We reached Birla Mandir by bus number 45B from Sealdah station.  Then I call the mobile number written from the telephone booth.  But to no avail.  Because the person I call, he says the office is closed now.  You will come to the office tomorrow at 10 am.  I was shocked to hear this.  After leaving the call, another boy is going to call the number .  I asked the boy, "Are you from Anamika Consult Agency in Ranaghat?"  The boy says- yes we are four.  Then I told him - now the office is closed, so he told me to come to the office at 10 in the morning.  Then it was 8 o'clock.  Traffic was light at this time of night due to heavy rains.  We had no idea what to do now.  Later everyone decided to stay at the lodge.  But we could not stay at the lodge because the rent was too high.  Because no one had that much money in their pockets.  Then we all walked about 8 km from Birla temple and reached Sealdah station again at 9:30 pm.  Irritation of extreme hunger in the stomach.  On the other hand, the storm.  The plants are lying around randomly.  I went inside the station and spread the paper in one place and lay down.  But sleep does not come because of hunger.  Then I bought one kg of chira from the shop and ate it in fours and went to sleep.  I did not write the rest today.  Keep an eye on the next episode for this.  Thank you ...




MYSTERY OF MY JOB (8)

       বাড়িতে আসার পথে আমরা সাবিত্রী পিসীর বাড়ি ঢুকলাম । দিনটি ছিল হোলির দিন । সম্পর্কটা ঠিকঠাক না হওয়ায় মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । এই...