মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB (8)

       বাড়িতে আসার পথে আমরা সাবিত্রী পিসীর বাড়ি ঢুকলাম । দিনটি ছিল হোলির দিন । সম্পর্কটা ঠিকঠাক না হওয়ায় মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । এই আক্ষেপে উদয় দাকে একটি মদের বোতল নিয়ে আসতে বললাম । সে কথামতো একটি মদের বোতল নিয়ে আসে । সাবিত্রী পিসী খাসির মাংশ রান্না করছিলো । আমি রান্না ঘরে গিয়ে পিসীর কাছ থেকে এক বাটি মাংস চেয়ে নিই । 

        তারপর আমরা বারান্দায় চট বিছিয়ে মদ খেতে শুরু করি । তিন প্যাক করে খাবার পর সবার মাথা ঝিমোত শুরু করে । এমন সময় পিসে মশায়ের গ্রামের এক মহিলা বাড়িতে প্রবেশ করে । সেই মহিলা পিসীর সঙ্গে গল্প করছিল আমাকে নিয়ে । তারপর সেই মহিলা আমার দিকে লক্ষ করে সাবিত্রী পিসীকে বলল - যদি কিছু না মনে কর তাহলে আমার ভাগনিকে দেখাতে চাইছিলাম । তোমার ভাসতার পছন্দ হলে ডিমান্ডের দিক থেকে আটকাবে না । মদ খেতে খেতে আমি মেয়ের মামিকে বললাম - " বর্তমানে আমাদের এক জায়গায় কথাবার্তা চলছে । অতএব ওখানে যদি সম্পর্ক না হয় তাহলে আপনার ভাগনিকে দেখতে যাবো "। 

      তারপর উনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন । আমরাও  মদের বোতল শেষ করে মাংসভাত খেতে বসলাম । তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে পিসীর বাড়ি থেকে রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে । হালকা নেশা হয়ে যাওয়ায় বাইক ধীরে চালাচ্ছিলাম । ঘন্টায় গতিবেগ ছিল ২০ কিলোমিটার । হোলির দিন থাকায় রাস্তাঘাটে তেমন গাড়ি চলছিলো না । সমস্ত রাস্তা গল্প করতে করতে ভালোভাবেই আসছিলাম । কিন্তুু সরলা ঢোকার আগে ধধরং নামক জায়গায় আমাদের দুর্ঘটনা ঘটে যায় । এতে আমার কোনো দোষ ছিল না । কারণ রাস্তার দুই ধারে গ্রামের বাসিন্দারা দাঁড়িয়ে ছিল । আর তাদের পাশে দুটি ছাগল বাঁধা ছিল । আমার বাইক ওদের কাছাকাছি আসতেই বাইকের শব্দে ভয় পেয়ে হঠাৎ একটি ছাগল আমার বাইকের সামনে চলে আসে । আর ছাগলের দড়ি বাইকের ডবল স্ট্যান্ড এর সঙ্গে লেগে যায় । আমি বাইক ব্রেক করতই দড়ির খুটা ছিটকে গিয়ে এক বুড়িকে লাগে সজোড়ে । ফলে বুড়ি ওঃ মা! বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

        আমি বাইক থামিয়ে বুড়িকে দেখতে গেলে পাড়ার লোকজন আমাকে মারতে উদ্ধত হয় । ঠিক সেই সময় গ্রামের এক বাইক নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় । উনি সবাইকে থামিয়ে দিয়ে আমার কাছে পুরো ঘটনাটি শোনে । তারপর তিনি আমাকে বলেন - " এখানে তো তোমার কোনো দোষ দেখছি না " । রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তিনি গ্রামের লোকজনকে বকা দিলেন এবং আমাকে বললেন তুমি এই বৃদ্ধার জন্য ঔষধ কিনে দাও । সরলা স্ট্যান্ডে গিয়ে বৃদ্ধাকে ১৫০ টাকার ঔষধ কিনে দিই। এরপর বাড়িতে পৌছাই বিকাল সাড়ে চার টে নাগাদ । 

           বাড়িতে পৌঁছে ....................................।




রবিবার, ২ মে, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 7

         তারপর আমি সবাইকে স্বাভাবিক ভাবে বললাম - এটা মেয়ে বাড়ির ব্যাপার , কী ঘটেছে ? ওখানে না গেলে বোঝা যাবে না । অতএব আপনারা সবাই চুপ করুন, আমাকে প্রশ্ন না করে যেতে দাও তাহলে কী ঘটেছে তা বোঝা যাবে । জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে সেখানে আসতে বলছে । এই কথা শুনে মামা-মামী, দাদু-দাদী সবার হাসি মুখে জিঙ্গাসার চিহ্ন ফুটে ওঠে । বাবা সব শুনে ও বুঝে আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে বলেন মেয়ের বাড়িতে । আমিও দেরি না করে অনন্ত ও রঞ্জিত জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের বাড়ি রওনা দিই । যেতে যেতে আমি অনন্ত জামাইবাবুকে জিঙ্গাসা করলাম - আসলে কী ঘটতে পারে ? সে বলে - আমিও তো কিছুই বুঝতে পারছি না । গতকাল অবধি তো সব ঠিকই ছিল । 

         রঞ্জিত জামাইবাবু বলে - আরে , চল না ! ওখানে পৌছালেই সব বোঝা যাবে । আমি আর কিছু না বলে বাইক চালাতে থাকি । ঘন্টা দেড়েক পরে মেয়ের বাড়ি পৌঁছে যাই । উদয় দা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন । আমি উদয় দাকে জিঙ্গাসা করতেই যাচ্ছিলাম - কী ঘটেছে ? কিন্তু সে আমার দিকে নজর না দিয়ে বলল - বাড়ির ভিতরে চলো সবাই । আমি আর কিছু না বলে উদয়ের পিছু পিছু বাড়িতে ঢুকে ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসলাম । 

         তারপর যা ঘটলো ,তা আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন না । সমস্ত ঘটনা কেমন যেন হাস্যকর । আমি মেয়ের বাবাকে জিঙ্গাসা করলাম - " হ্যাঁ, কী হয়েছে বলুন " ? মেয়ের বাবা কিছু বলার আগেই মেয়ের পাশের বাড়ির এক বউদি ( দেখতে খুব সুন্দর এবং চাকরি-ওয়ালার বউ। শিক্ষিতও মনে হচ্ছে ) বলে উঠলেন- " কী হয়নি সেটা বল "। আমি বললাম - " মানে, আমি ঠিক বুঝতে পারলাম " । বউদি - " তোমার এপয়েন্টমেন্ট লেটারে যে তিন তিনটে ভুল এগুলো কি করে মেনে নেওয়া যায়" ।

                 আমি - " দেখুন বউদি , আমি গরীবের ছেলে। আমার বাপ ঠাকুরদা কেউ কখনো চাকরি করেননি । অতএব আমার সাত পুরুষের মধ্যে আমিই প্রথম এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়েছি । আমি তো কোনদিন চোখেও দেখিনি এপয়েন্টমেন্ট লেটার কি রকম হয় । আর তাতে কী ভুল আছে তা আমি জানব কেমন করে । আচ্ছা, কী ভুল পেয়েছেন যদি একটু বলেন তবে জানতে পারি "। বউদি বললেন যেমন প্রথমত ভুল - " তোমার এপয়েন্টমেন্ট লেটারের প্রথমে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া নেই" । দ্বিতীয়ত - " পরীক্ষার তারিখ (২৯/০২/২০১৩ ) ভুল , কারণ লিপ-ইয়ার ছাড়া ফেব্রুয়ারী মাসে ২৯ তারিখ হয় না " । তৃতীয়ত - " লেটারের মাঝে বানান ভুল " । এই রকম যদি হয় তাহলে তো মেয়ের বাবাকে তুমি ধোকা দিচ্ছো ।

          আমি নির্ভয়ে জবাব দিলাম - " শুনো বউদি , তুমি যে তিনটে ভুলের কথা উল্লেখ করলে , সেটা সম্পর্কে আমার কোনো ঞ্জান নেই । কারণ , আপনাদের মেয়েকে দেখতে এসে তোমার স্বামীকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখিয়েছি এবং জেরক্স দিয়ে গেছি । দাদা একজন চাকুরীওয়ালা হয়েও গতকাল এই ভুল গুলো ধরতে পারেনি তাহলে আমি ধরবো কেমন করে । আর তুমি কী বললে যেন - "আমি মেয়ের বাবাকে ধোকা দিচ্ছি" । যদি এই রকম কোনো খারাপ চিন্তা মাথায় থাকত তাহলে এপয়েন্টমেন্ট লেটারের জেরক্স দিয়ে যেতাম না । আমি গরীব হলেও চোর নয় " । 

           আমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম এমন সময় মেয়ের বাবা আমাকে বললেন - " যাই হোক বাবা, আমি এই মুহূর্তে বিয়ে বন্ধ করছি । আর একটা কথা - তুমি আগে চাকুরীতে জোয়েন্ট করো , তারপর আমি আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দেব " । আমিও বললাম - " ঠিক আছে, এই কথাই রইল " । এই বলে আমরা মেয়ের বাবার কাছে বিদায় জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম।

       তারপর......................…...??????? 





শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 6

      মেয়ের বাবার কাছে বিদায় নিয়ে বাড়িতে পৌঁছালে,ওই দিনই একটি গাড়ি ঠিক করে আসি , আগামী কাল মেয়ের বাড়ি রেজিস্ট্রি বিয়েতে যাওয়ার জন্য । বাবা-মা, মামা-মামী ও দাদু-দাদীকে বলে রাখলাম মেয়ে দেখতে যাওয়ার জন্য । পরের দিন সকালে মা আমাকে বলে - তুই কুনোর গিয়ে তোর ছোট বোনের শাশুড়িকে নিয়ে আয়, আমাদের সঙ্গে যাবে ।

       আমি মায়ের কথামতো বাইক নিয়ে গিয়ে বোনের শাশুড়িকে নিয়ে আসি । কুনোর যেতে আসতে ঘড়িতে ১১:২৫ বেজে গেছে । বাড়িতে এসে দেখি সবাই তৈরি হয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে । আমি সবাইকে গাড়িতে ওঠার কথা বলে, তাড়াতাড়ি স্নান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু এগোতেই আমার মোবাইল বেজে ওঠে । পোকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি উদয় দা কল করেছে । কল রিসিভ করে হ্যালো বলতেই , উদয় দা বলে - " তোমরা সবাই কতদূরে আছো " । আমি বললাম - " আমরা সরলা পেরিয়ে গিয়েছি । এক ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবো "। উদয় দা - " তোমরা সবাই ওইখানে থেকে বাড়ি ফিরে যাও "। আমি - " বুঝলাম না , বাড়ি ফিরে যাবো মানে "। উদয় দা - " তুই সবাইকে বাড়িতে রেখে , তুই আর জামাইবাবু বাইক নিয়ে মেয়ের বাড়ি আয় । আসলেই বুঝতে পারবি । আমি ফোন রাখছি "।  

       আমি কিছু বলতেই যাচ্ছিলাম এমন সময় কল কেটে যায়। সবাই অনেক আশা নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে আছে । শুধু আমার অপেক্ষা , আমি পৌছালেই গাড়ি স্টার্ট করবে । আমি কিছু না ভেবে পেয়ে রঞ্জিত জামাইবাবুর মোবাইলে কল করে সবাইকে বাড়ি ফিরে আসতে বলি । আমার এই কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যায় এবং বাড়িতে ফিরে আসে এবং আমাকে জিঙ্গাসা করে - "কী ব্যাপার , আমাদের গাড়ি থেকে নেমে আসতে বললি কেন "? আমি সমস্ত ঘটনা খুলে বলি সবাইকে । এই কথা শুনে সবার মধ্যে অনেক প্রশ্নের উদ্ভব হয় । 

        তারপর ......................................??????? 

"বাকী অংশের জন্য পরের এপিসোডে চোখ রাখুন "







মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 5

         বাড়ির লোকজন টাকার চিন্তায় অস্থির । এই দুই দিনের মধ্যে কী করে এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব । আমিও খুব দূঃচিন্তায় পড়ে গেলাম । আবার কখনো ভাবছি - " যেহেতু টাকা জোগাড় হচ্ছে না, তবে চাকরির আশা করে লাভ নেই " । এই সব কথা ভাবতেই আবার মনে পড়ে যায় কলকাতা দিয়ে আসা সেই পঞ্চাশ হাজার টাকার । যদি চাকরীতে জোয়েন্ট না করি তাহলে পঞ্চাশ হাজার টাকা শোধ করব কী করে ? 

          এই সব কথা ভাবতেই হঠাৎ আমার মোবাইল বেজে ওঠে। কল রিসিভ করলে জানতে পারি আমার বড় পিসির ছেলে উদয় কল করেছে । সে আমাকে বলে - " তোর কী কোথাও সম্বন্ধ হয়ে গেছে " ? আমি উত্তর দিই - "না , এখনো কোথাও সম্বন্ধ তৈরি হয়নি " । সে আমাকে বলে  - " তুই জামাইবাবুকে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ রসিদপুর এ চলে আয় । আমি এখানে আছি " । আমি বললাম - ঠিক আছে, এই বলে কল কেটে দিলাম । আমি বুঝতে পারলাম যে - সে আমাকে মেয়ে দেখাতে নিয়ে যাবে । আমি দেরি না করে বাইকে চেপে  অনন্ত জামাইবাবুকে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ রওনা দিই । কিন্তু মাঝ রাস্তায় অনন্ত জামাইবাবু বলে - আগে তুই বরুনা হামিদপুরে চল । আমি তাঁর কথামতো বাইক হামিদপুরের দিকে ঘোরাই । হামিদপুর পৌঁছালে সে আমাকে বাইক থামাতে বলে এবং এপয়েন্টমেন্ট লেটার সঙ্গে নিয়ে তাঁর পিছু পিছু যেতে বলে । আমি তাঁর কথামতো কাজ করি । সে আমাকে নিয়ে এক ভদ্রলোকের বাড়িতে ঢুকলাম । জামাইবাবু এপয়েন্টমেন্ট লেটার সেই ভদ্রলোকের হাতে দিয়ে বলে - " দেখেন তো সব কিছু ঠিকঠাক আছে কি না " । ভদ্রলোক এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে নিয়ে দেখে বলে - " হ্যাঁ, সব কিছুই তো ঠিক আছে " । তারপর তিনি আমাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার ফিরিয়ে দেন । আমরা ভদ্রলোকের কাছে বিদায় নিয়ে বাইকে চেপে চলতে শুরু করি । 

          বাইক চলাকালীন আমি জামাইবাবুকে জিঙ্গাসা করে জানতে পারলাম ভদ্রলোকের পরিচয় । তিনি পেশায় একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক । কিছুক্ষণ পরে আমরা কালিয়াগঞ্জ রসিদপুর এ পৌঁছে । উদয় দাকে কল করি এবং সে আমাদের নিয়ে যেতে আসে । তারপরে সে আমাদেরকে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে নিয়ে যায় । আমরা সোফায় বসে মেয়ের বাবা ও কাকার সঙ্গে কথা বার্তা বলছিলাম । 

         এমন সময় একজন সুন্দরী মেয়ে হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে উপস্থিত হয় । আমি মেয়েকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই । মেয়ে চলে গেলে আমি সবার সামনে বলে দিই - "মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে কিন্তু আমাকে আপনাদের কেমন লেগেছে" । মেয়ের বাবা বললেন - " আমাদের সকলেরই তোমাকে পছন্দ হয়েছে " । এরপর লেনদেনের ব্যাপারে আমি ৩৫০০০০ ( তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার ) টাকা দাবি করি । মেয়ের বাবা টাকা দিতে রাজী হয়ে যায় এবং বলে তাহলে আগামীকাল রেজিস্ট্রি বিয়ে কমপ্লিট দিয়ে ২০০০০০ (দুই লাখ) টাকা দেব আর বাকী বিয়ের আগে । তারপর মেয়ের বাবা আমার কাছে এপয়েন্টমেন্ট লেটার এর জেরক্স চায় । আমি মেয়ের বাবাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটারের জেরক্স দিয়ে আমরা  বিদায় নিই । পরের দিন ..................................।

 





বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 4

        এরপর বাড়িতে পৌঁছালে প্রভাত দা নিজের বাড়িতে চলে যায় । আমি বাবাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখাই । এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখে বাবা খুব খুশি হয়ে যায় । চাকুরীতে জোয়েন্ট হতে মাত্র ছয় দিন সময় আছে । আর এর আগে বাকী দুই লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে । এই ছয় দিনের মধ্যে অত টাকা জোগাড় হবে কী করে ? বাবা আমাকে জয়নাল স্যারকে কল করতে বলে । আমি স্যারকে কল করি । কল রিসিভ করলে আমি বাবাকে মোবাইল দিই । বাবা জয়নাল স্যারকে বলে - " দাদা , আমরা জোয়েন্ট এর পর টাকা দেব । কারণ এই পাঁচ দিনের মধ্যে অত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় " । স্যার বাবাকে বললেন - " ঠিক আছে, আপনি গঙ্গারামপুর অফিসে গিয়ে এই কথাটি বলবেন " । তারপর আমি, বাবা ও রঞ্জিত ( জামাইবাবু ) তিন জনে মিলে অফিসে গেলাম । সেখানকার আধিকারিকদের বিষয়টি জানাই । উনারা আমাদের কথায় সহমত হয়ে বললেন - " তবুও আপনাদের জোয়েন্ট হওয়ার আগে এক লক্ষ টাকা দিতেই হবে । আর বাকী টাকা পরে দেবেন " । অফিস থেকে বাড়িতে পৌঁছালে জয়নাল স্যার আমাদের বাড়ি চলে আসেন এবং বাবাকে বলেন - " আপনি টাকার জন্য ভাবছেন কেন? ছেলের বিয়ে লাগান তাহলেই টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে " । তারপর শুরু হয়ে গেল মেয়ে দেখার পালা । এক ঘটক এখানে তো আর এক ঘটক সেখানে মেয়ে দেখায় । কোথাও পছন্দ হচ্ছে কিন্তু টাকা দিতে পারবে না । আবার কোথাও পছন্দ হচ্ছে না কিন্তু টাকা দিতে পারবে । এইভাবে করে চার দিনে কুড়িটি মেয়ে দেখা হয়ে গেলেও কোথাও সম্বন্ধ তৈরি হল না । অন্য দিকে সময় সংকীর্ণ । কী করে টাকা জোগাড় করা সম্ভব তা নিয়েই বাড়ির লোকের চিন্তা । যাইহোক...................।

          পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।





সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 3

        তারপর জয়নাল স্যারের সঙ্গে আমরা প্রথম যে রুমে আলোচনা শুরু হয়েছিলো সেই রুমে যাই । রুমে ঢুকে দেখি আরও তিন জন ছেলে বসে আছে । তাঁদের সঙ্গে পরিচিত হলাম ।তাঁদের মধ্যে একজন ছিল সরলা নামক এক জায়গার (যা আমার বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত) । তাঁর নাম হচ্ছে বুদ্ধদেব সরকার (বুদ্ধ) । বুদ্ধদেবের সঙ্গে কথা বলে নিজেকে আনন্দ পেয়েছিলাম । কারণ আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমাদের এলাকার কোনো ছেলে নেই । একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আচমকা সেই ভদ্রলোক রুমে প্রবেশ করেন । তিনি আমাকে ছাড়া সবাইকে একটি করে কাগজ দিচ্ছিলো । আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে সব লক্ষ্য করছিলাম । বুদ্ধদেবের কাগজটি হাতে নিয়ে দেখি - এটা কোনও সাধারণ কাগজ নয় । ওটা ছিল "এপয়েন্টমেন্ট লেটার" । তারপর সেই ভদ্রলোক আমাকে উদ্দেশ্যে বললেন - আপনার এপয়েন্টমেন্ট লেটার আজকে পাওয়া যায়নি । এই কথা শুনে আমাকে খুব খারাপ লেগেছিলো । পরে অবশ্য বুঝতে পারলাম তিনি আমার সঙ্গে ইয়ার্কি করছেন । শেষ পর্যন্ত তিনি আমাকেও একটি কাগজ হাতে দিয়ে বললেন- " অত চিন্তা করার দরকার নেই , এটিই হল আপনার এপয়েন্টমেন্ট লেটার " । এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে আমি খুব আনন্দিত হয়েছিলাম । তখন আমার মনে অনেক কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল । যেমন এতোদিনে হয়তো ঈশ্বর আমার দিকে তাকিয়েছেন । আমার বাবা মাকে আর মাঠে কাজ করতে হবে না । আমি গরীবের ছেলে হয়ে চাকুরী পাবো এটা কোনোদিনই ভাবিনি । এই কথা ভাবতেই আনন্দে দুই চোখ দিয়ে জল ঝরতে শুরু হয়েছিলো। তারপর সেই ভদ্রলোক আমাদের বললেন - " আপনারা সবাই এপয়েন্টমেন্ট লেটার এ লিখিত জোয়েন্ট এর তারিখে কলকাতা উপস্থিত থাকবেন । এই কথা শুনে আমি বাবাকে ফোন করে সমস্ত কথা বলি । আমার কথা শুনে বাবা-মা দুজনে খুশি হয়ে যায় । তারপর আমি ও প্রভাত দা ধর্মতলায় গিয়ে বাসে চেপে বাড়ির জন্য রওনা দিই । এরপর....................................।

         পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।






বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 2

     কিন্তু কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায় । আমরা ট্রেন ধরতে পারিনি । ট্রেন ততক্ষণে অনেক দূরে চলে গিয়েছে । তারপর আমরা নাইট কোচ বাসের টিকিট কেটে পরের দিন সকালে কলকাতার ধর্মতলায় পৌঁছাই । বাস থেকে নেমে আমি জয়নাল স্যারকে কল করি । তিনি বলেন - " তুমি মেট্রো রেলের তিন নম্বর গেট এ চলে আসো । আমি গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি " । আমরা এক ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তিন নম্বর গেট এ পৌঁছাই । গিয়ে দেখি জয়নাল স্যার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন । আমরা স্যারের সঙ্গে দেখা করি এবং তিনি আমাদের এক লজ এ নিয়ে যান । লজের দোতলার একটি ঘরে আমরা প্রবেশ করে দেখি আরও ছয়জন ব্যক্তি বসে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে । আমরা ঘরে ঢুকতেই সবাই চুপ হয়ে যায় ।  একজন ভদ্রলোক আমার নাম জিঞ্জাসা করে । আমি তৎক্ষণাৎ আমার নাম বলে দিই । তিনি আমাকে একটি সাদা A4 সাইচ্ পৃষ্ঠা দিয়ে বললেন - " আপনার সম্পূৰ্ণ বায়োডেটা এই পৃষ্ঠায় লিখুন " । আমি পৃষ্ঠাটি হাতে নিয়ে লিখতে শুরু করি । লেখা শেষ হলে আমি ওই ভদ্রলোকের দিকে পৃষ্ঠাটি এগিয়ে দিই। ভদ্রলোক পৃষ্ঠা হাতে নিয়ে আমার হস্তাক্ষরের প্রশংসা করলেন । আমি উনাকে ধন্যবাদ জানাই । তারপর ভদ্রলোক জয়নাল স্যারের দিকে তাকিয়ে কিছু ইশারা করছিলেন । আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম । ঠিক সেই সময়েই বলে উঠলেন - " প্রকাশ, তুমি বাড়িতে থাকাকালীন আমি যে কথাটা ফোনে বলেছিলাম সেটা নিয়ে এসেছ " । আমি বুঝতে পারলাম তিনি আমাকে টাকার কথা বলছেন । তারপর আমি ব্যাগ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বের করি এবং  টাকা দেওয়ার আগে আমি জয়নাল স্যারকে বলি  - " স্যার, কষ্ট করে এই টাকাটা জোগাড় করে এনেছি । যাতে বিফলে না যায় । কারণ আমি কিন্তু আপনার ভরসায় টাকা দেব " । তারপর আমি পুরোপুরি স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চাশ হাজার টাকা গুনতি করে জয়নাল স্যারের হাতে দিই । উনি সেই ভদ্রলোকটিকে টাকাগুলি দিয়ে দিলেন । এরপর সেই ভদ্রলোক আমাদেরকে বিশ্রাম নিতে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । তারপর জয়নাল স্যার আমাদের অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন । পুরো রাত বাসে চেপে আসায়  আমি ও প্রভাত দা খুব ক্লান্ত ছিলাম । তাই বিছানায় শোতেই কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি । দূপুর দেড়টা নাগাদ আমাদের ঘুম ভাঙে । তারপর স্নান করে খাবার জন্য নিচে নেমে আসি । খাওয়া সেরে আবার ঘরে গিয়ে বসি । প্রায় বিকাল তিনটে নাগাদ জয়নাল স্যার আমাদের ডাকতে আসে । তারপর..............................।

                   পরের এপিসোডে চোখ রাখুন।





MYSTERY OF MY JOB (8)

       বাড়িতে আসার পথে আমরা সাবিত্রী পিসীর বাড়ি ঢুকলাম । দিনটি ছিল হোলির দিন । সম্পর্কটা ঠিকঠাক না হওয়ায় মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । এই...