তারপর বাবা আমাকে জয়নাল স্যারকে কল করতে বলে । আমি স্যারকে কল করে বলি - " আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেন " । তিনি তৎক্ষণাৎ বলেন - " ঠিক আছে , তোমার বাবাকে মোবাইল দাও " । আমি বাবাকে মোবাইলটি দিতেই বাবা বলেন - " চাকরিটা নিশ্চিত হবে তো "। স্যার বাবাকে বললেন - " আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন কি না ? যদি বিশ্বাস থাকে তাহলে ছেলেকে ৫০০০০ টাকা দিয়ে আজকেই কলকাতায় পাঠিয়ে দেন " । বাড়িতে তো কানাকড়িও নাই । এতো টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে ,তা নিয়ে বাবা চিন্তা করে । আমি বাবা মাকে বলি - " এতো টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় । অতএব স্যারকে না বলে দাও । বাবা বলে - " মাস্টার তো বললেন চাকরি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না । টাকা জোগাড় করতেই হবে যেন তেন প্রকারেণ । তারপর বাবা আমার ছোট বোন জামাইকে কল করে টাকার কথা বলে । সে ৪০০০০ টাকা জোগাড় করে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে যায় । এরপর আমার মা তাঁর পিসিকে কল করে ২০০০০ টাকার জন্য । মায়ের পিসি অর্থাৎ আমার দাদিমা টাকা আনতে তাঁর বাড়িতে যেতে বলে । বোন জামাই ও আমি দুই জন মিলে মোটরবাইকে চেপে দাদিমার বাড়িতে পৌঁছাই টাকা নেওয়ার জন্য । দাদিমা তাঁর ছোট্ট একটি টিনের বাক্স থেকে ২০০০০ টাকা বের করে আমার হাতে দিয়ে বলে সাবধানে যাবে । দাদিমা আরও বলে - " তোর এই চাকুরীটা হয়ে গেলে তোর বাবা মা একটু শান্তি পায়" । হাতে সময় কম থাকায় আমি দাদিমাকে প্রণাম করে তাড়াতাড় বাড়িতে রওনা দিই । বাড়িতে পৌঁছালে বাবা মাকে বলি - " এখনো অনেক সময় আছে , ভেবে দেখো । কারণ আমার মন যেতে চাইছে না । ব্যাপারটা কেমন যেন তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে " । বাবা আমাকে বলে - " তোকে এত চিন্তা করতে হবে না । টাকা জোগাড় হয়ে গেছে , তুই টাকা নিয়ে কলকাতা রওনা দে " । আমি বাবাকে বলি -" শুধু ৫০০০০ টাকা তো নয় , এখনো ২০০০০০ টাকা জোগাড় করতে হবে । আর এতগুলো টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে "। বাবা আমাকে বলে - " ঈশ্বরেই সব জোগাড় করে দেবেন " । তারপরে আমি প্রভাত দাদাকে কল করি এবং আমাদের বাড়িতে আসতে বলি । সে এসে পৌঁছালে তাকে আমার সঙ্গে কলকাতা যাওয়ার কথা বলি । এরপর আমরা দুই জনে প্রভাত দাদার বাইকে চেপে কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য রওনা দিই । কিন্তু.....................।
পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।