কিন্তু কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায় । আমরা ট্রেন ধরতে পারিনি । ট্রেন ততক্ষণে অনেক দূরে চলে গিয়েছে । তারপর আমরা নাইট কোচ বাসের টিকিট কেটে পরের দিন সকালে কলকাতার ধর্মতলায় পৌঁছাই । বাস থেকে নেমে আমি জয়নাল স্যারকে কল করি । তিনি বলেন - " তুমি মেট্রো রেলের তিন নম্বর গেট এ চলে আসো । আমি গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি " । আমরা এক ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তিন নম্বর গেট এ পৌঁছাই । গিয়ে দেখি জয়নাল স্যার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন । আমরা স্যারের সঙ্গে দেখা করি এবং তিনি আমাদের এক লজ এ নিয়ে যান । লজের দোতলার একটি ঘরে আমরা প্রবেশ করে দেখি আরও ছয়জন ব্যক্তি বসে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে । আমরা ঘরে ঢুকতেই সবাই চুপ হয়ে যায় । একজন ভদ্রলোক আমার নাম জিঞ্জাসা করে । আমি তৎক্ষণাৎ আমার নাম বলে দিই । তিনি আমাকে একটি সাদা A4 সাইচ্ পৃষ্ঠা দিয়ে বললেন - " আপনার সম্পূৰ্ণ বায়োডেটা এই পৃষ্ঠায় লিখুন " । আমি পৃষ্ঠাটি হাতে নিয়ে লিখতে শুরু করি । লেখা শেষ হলে আমি ওই ভদ্রলোকের দিকে পৃষ্ঠাটি এগিয়ে দিই। ভদ্রলোক পৃষ্ঠা হাতে নিয়ে আমার হস্তাক্ষরের প্রশংসা করলেন । আমি উনাকে ধন্যবাদ জানাই । তারপর ভদ্রলোক জয়নাল স্যারের দিকে তাকিয়ে কিছু ইশারা করছিলেন । আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম । ঠিক সেই সময়েই বলে উঠলেন - " প্রকাশ, তুমি বাড়িতে থাকাকালীন আমি যে কথাটা ফোনে বলেছিলাম সেটা নিয়ে এসেছ " । আমি বুঝতে পারলাম তিনি আমাকে টাকার কথা বলছেন । তারপর আমি ব্যাগ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বের করি এবং টাকা দেওয়ার আগে আমি জয়নাল স্যারকে বলি - " স্যার, কষ্ট করে এই টাকাটা জোগাড় করে এনেছি । যাতে বিফলে না যায় । কারণ আমি কিন্তু আপনার ভরসায় টাকা দেব " । তারপর আমি পুরোপুরি স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চাশ হাজার টাকা গুনতি করে জয়নাল স্যারের হাতে দিই । উনি সেই ভদ্রলোকটিকে টাকাগুলি দিয়ে দিলেন । এরপর সেই ভদ্রলোক আমাদেরকে বিশ্রাম নিতে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । তারপর জয়নাল স্যার আমাদের অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন । পুরো রাত বাসে চেপে আসায় আমি ও প্রভাত দা খুব ক্লান্ত ছিলাম । তাই বিছানায় শোতেই কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি । দূপুর দেড়টা নাগাদ আমাদের ঘুম ভাঙে । তারপর স্নান করে খাবার জন্য নিচে নেমে আসি । খাওয়া সেরে আবার ঘরে গিয়ে বসি । প্রায় বিকাল তিনটে নাগাদ জয়নাল স্যার আমাদের ডাকতে আসে । তারপর..............................।
পরের এপিসোডে চোখ রাখুন।