বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 2

     কিন্তু কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায় । আমরা ট্রেন ধরতে পারিনি । ট্রেন ততক্ষণে অনেক দূরে চলে গিয়েছে । তারপর আমরা নাইট কোচ বাসের টিকিট কেটে পরের দিন সকালে কলকাতার ধর্মতলায় পৌঁছাই । বাস থেকে নেমে আমি জয়নাল স্যারকে কল করি । তিনি বলেন - " তুমি মেট্রো রেলের তিন নম্বর গেট এ চলে আসো । আমি গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি " । আমরা এক ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তিন নম্বর গেট এ পৌঁছাই । গিয়ে দেখি জয়নাল স্যার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন । আমরা স্যারের সঙ্গে দেখা করি এবং তিনি আমাদের এক লজ এ নিয়ে যান । লজের দোতলার একটি ঘরে আমরা প্রবেশ করে দেখি আরও ছয়জন ব্যক্তি বসে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে । আমরা ঘরে ঢুকতেই সবাই চুপ হয়ে যায় ।  একজন ভদ্রলোক আমার নাম জিঞ্জাসা করে । আমি তৎক্ষণাৎ আমার নাম বলে দিই । তিনি আমাকে একটি সাদা A4 সাইচ্ পৃষ্ঠা দিয়ে বললেন - " আপনার সম্পূৰ্ণ বায়োডেটা এই পৃষ্ঠায় লিখুন " । আমি পৃষ্ঠাটি হাতে নিয়ে লিখতে শুরু করি । লেখা শেষ হলে আমি ওই ভদ্রলোকের দিকে পৃষ্ঠাটি এগিয়ে দিই। ভদ্রলোক পৃষ্ঠা হাতে নিয়ে আমার হস্তাক্ষরের প্রশংসা করলেন । আমি উনাকে ধন্যবাদ জানাই । তারপর ভদ্রলোক জয়নাল স্যারের দিকে তাকিয়ে কিছু ইশারা করছিলেন । আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম । ঠিক সেই সময়েই বলে উঠলেন - " প্রকাশ, তুমি বাড়িতে থাকাকালীন আমি যে কথাটা ফোনে বলেছিলাম সেটা নিয়ে এসেছ " । আমি বুঝতে পারলাম তিনি আমাকে টাকার কথা বলছেন । তারপর আমি ব্যাগ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বের করি এবং  টাকা দেওয়ার আগে আমি জয়নাল স্যারকে বলি  - " স্যার, কষ্ট করে এই টাকাটা জোগাড় করে এনেছি । যাতে বিফলে না যায় । কারণ আমি কিন্তু আপনার ভরসায় টাকা দেব " । তারপর আমি পুরোপুরি স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চাশ হাজার টাকা গুনতি করে জয়নাল স্যারের হাতে দিই । উনি সেই ভদ্রলোকটিকে টাকাগুলি দিয়ে দিলেন । এরপর সেই ভদ্রলোক আমাদেরকে বিশ্রাম নিতে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন । তারপর জয়নাল স্যার আমাদের অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন । পুরো রাত বাসে চেপে আসায়  আমি ও প্রভাত দা খুব ক্লান্ত ছিলাম । তাই বিছানায় শোতেই কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি । দূপুর দেড়টা নাগাদ আমাদের ঘুম ভাঙে । তারপর স্নান করে খাবার জন্য নিচে নেমে আসি । খাওয়া সেরে আবার ঘরে গিয়ে বসি । প্রায় বিকাল তিনটে নাগাদ জয়নাল স্যার আমাদের ডাকতে আসে । তারপর..............................।

                   পরের এপিসোডে চোখ রাখুন।





সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB

         তারপর বাবা আমাকে জয়নাল স্যারকে কল করতে বলে । আমি স্যারকে কল করে বলি - " আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেন " । তিনি তৎক্ষণাৎ বলেন - " ঠিক আছে , তোমার বাবাকে মোবাইল দাও " । আমি বাবাকে মোবাইলটি দিতেই বাবা বলেন - " চাকরিটা নিশ্চিত হবে তো "। স্যার বাবাকে বললেন - " আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন কি না ? যদি বিশ্বাস থাকে তাহলে ছেলেকে ৫০০০০ টাকা দিয়ে আজকেই কলকাতায় পাঠিয়ে দেন " । বাড়িতে তো কানাকড়িও নাই । এতো টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে ,তা নিয়ে বাবা চিন্তা করে । আমি বাবা মাকে বলি - " এতো টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় । অতএব স্যারকে না বলে  দাও । বাবা বলে - " মাস্টার তো বললেন চাকরি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না । টাকা জোগাড় করতেই হবে যেন তেন প্রকারেণ । তারপর বাবা আমার ছোট বোন জামাইকে কল করে টাকার কথা বলে । সে ৪০০০০ টাকা জোগাড় করে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে যায় । এরপর আমার মা তাঁর পিসিকে কল করে ২০০০০ টাকার জন্য । মায়ের পিসি অর্থাৎ আমার দাদিমা টাকা আনতে তাঁর বাড়িতে যেতে বলে । বোন জামাই ও আমি দুই জন মিলে মোটরবাইকে চেপে দাদিমার বাড়িতে পৌঁছাই টাকা নেওয়ার জন্য । দাদিমা তাঁর ছোট্ট একটি টিনের বাক্স থেকে ২০০০০ টাকা বের করে আমার হাতে দিয়ে বলে সাবধানে যাবে । দাদিমা আরও বলে - " তোর এই চাকুরীটা হয়ে গেলে তোর বাবা মা একটু শান্তি পায়" । হাতে সময় কম থাকায় আমি দাদিমাকে প্রণাম করে তাড়াতাড় বাড়িতে রওনা দিই । বাড়িতে পৌঁছালে বাবা মাকে বলি - " এখনো অনেক সময় আছে , ভেবে দেখো । কারণ আমার মন যেতে চাইছে না । ব্যাপারটা কেমন যেন তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে " । বাবা আমাকে বলে - " তোকে এত চিন্তা করতে হবে না । টাকা জোগাড় হয়ে গেছে , তুই টাকা নিয়ে কলকাতা রওনা দে " । আমি বাবাকে বলি -" শুধু ৫০০০০ টাকা তো নয় , এখনো ২০০০০০ টাকা জোগাড় করতে হবে । আর এতগুলো টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে "। বাবা আমাকে বলে - " ঈশ্বরেই সব জোগাড় করে দেবেন " । তারপরে আমি প্রভাত দাদাকে কল করি এবং আমাদের বাড়িতে আসতে বলি । সে এসে পৌঁছালে তাকে আমার সঙ্গে কলকাতা যাওয়ার কথা বলি । এরপর আমরা দুই জনে প্রভাত দাদার বাইকে চেপে কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য রওনা দিই । কিন্তু.....................।

পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।






রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

ADMISSION IN AUTOMOBILE ENGINEER

     নেপাল থেকে ফিরে আসার পরে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে আমি অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হই । অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হওয়ার পিছনে অনেক কারণ ছিল । এটা ২০১২সালের ঘটনা ছিল । তখনকার দিনে বি.এ অথবা এম.এ কমপ্লিট করে সরকারি চাকুরী পাওয়া আমার কাছে খুব কঠিন ছিল । যে কোনো চাকুরী নিতে গেলে প্রচুর টাকা ডোনেট দিতে হতো । আর এই টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে "বামুন হয়ে চাঁদে পাড়ি দেওয়ার" মতোই ঘটনা ছিল। কারণ, আমি ছিলাম এক গরীব পরিবারের সন্তান। চাকুরী যদি না হয় তাহলে আমার পক্ষে পরিবারকে চালানো সম্ভব হবে না ।  তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এই পড়াশোনার পাশাপাশি কোন হাতের কাজ শিখে রাখি , যা আমার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে । এই জন্য আমি অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হই। যদি চাকরি না পাই তবে কোন অটোমোবাইল কোম্পানীতে কাজ করে পরিবারের খরচ চালিয়ে নেবো । কিন্তু আমার এই স্বপ্নও পূরণ হয়নি । আমি বি.এ. পড়ার জন্য টিউশন পড়িয়ে খরচ চালাতাম  তা আমি আগেই বলেছি। 

        একদিন বদলপুর (বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূর) টিউশন পড়িয়ে চকপাড়া হয়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম । এমন সময় আমার মোবাইল এ একটি কল আসে । পোকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি জয়নাল স্যার (পুরো নাম- জয়নাল আবেদীন, বাড়ি- কামালদিন , তিনি আমিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের পার্শ্ব শিক্ষক ) কল করেছেন । জয়নাল স্যারের সঙ্গে কিছু দিন আগে চাকুরীর ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছিলো । কিন্তু আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় সেই চাকুরীতে জোয়েন্ট হতে পারিনি। আমি কল রিসিভ করতেই জয়নাল স্যার বললেন - "তোমার জন্য একটি সূখবর আছে " । এই কথা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই । তারপর আমি স্যারকে বললাম - " আগে সুখবরটা তো বলেন শুনি "। তিনি বললেন -" ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চাকুরী করবে ? যদি করতে চাও তাহলে আজকের মধ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে কলকাতা চলে আসো । আমি কলকাতায় আছি "। আমি স্যারকে বললাম - " মোট কত টাকা দিতে হবে "? তিনি বলেন - " মোট দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা দিতে হবে" । আমি স্যারকে বলি - " এতো টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় । আমি বাড়িতে গিয়ে আগে বাবা মাকে বলি , উনারা কী বলেন । পরে আপনাকে কল করে জানাচ্ছি "।তিনি বলেন - " ঠিক আছে , তুমি বাড়িতে গিয়ে পৌঁছালে আমাকে কল করবে " । আমি -" ঠিক আছে স্যার । এই বলে কলটি কেটে দিই "। বাড়িতে পৌঁছালে বাবা মাকে সব কথা খুলে বলি। তারপর .............। পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষা করুন ।




মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

RETURN FROM NEPAL

         আমি নেপাল গিয়েছিলাম টাকা উপার্জন করতে । কিন্তু টাকা উপার্জন করা তো দূরের কথা, কেমন যেন সব পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল । আমি চাইছিলাম মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করে নতুন ভাবে কলেজ ভর্তি হব। আর পড়াশোনা চালিয়ে যাব । যাতে আর টাকা টাকা না বলতে হয়। তবে তা আর হলো না । এক মাসের মধ্যেই আমাকে বাড়ি ফিরে আসতে হয় । এরপর আবার নতুন করে টিউশন পড়াতে শুরু করি, আমার পড়াশোনার খরচ চালাতে । এই টিউশন পড়াতে গিয়ে দেখি আমার পড়াশোনার ঘাটতি হচ্ছে । কারণ টিউশন পড়িয়ে নিজের পড়া করতে খুববেশি অসুবিধে হচ্ছিল । আমার নিজের পড়ার জন্য আমিও টিউশন নিলাম কলেজের এক প্রফেসরর কাছে । স্যার এর নাম হল - নারায়ণ সরকার, বাড়ি মহারাজ পুর , গঙ্গারামপুর, দঃ দিনাজ পুর । তিনি আমাকে বললেন - গতবছর হঠাৎ করে হারিয়ে গিয়েছিলে কেন ? আর পরীক্ষাই বা দিলে না কেন ? আমি স্যারকে আমার দুর্ঘটনার কথা বলে দিই। তিনি আমাকে বলেন -ভালো করে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দাও । তারপর আবার আগের মতোই পড়াশোনা শুরু করলাম । কিন্তু এই সময় আমার জীবনে আর এক সমস্যা চলে আসে  ????? সমস্যাটি জানতে পরের এপিসোড এর জন্য অপেক্ষা করুন ।






রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

NEXT PART OF NEPAL JOURNEY

            দুই রাত দুই দিন হোটেলে কাটিয়ে আমাদের বিরক্তিকর লাগে । আমরা সবাই মিলে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে অনুভব করি । যেখানে আমাদের কাজ করতে নিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে যাওয়ার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা ঠিকাদারের কাছে ছিল না । কোম্পানির মালিক টাকা পাঠাতে দেরি করছিলেন । ১৫ জনের থাকা ও খাওয়া নিয়ে নেপালের টাকায় ১৮০০০ টাকা হোটেল বিল উঠেছিল । তারপর আমরা পরিকল্পনা করি যে - আজকেই যখন এত টাকার সমস্যা, তবে ঠিক মতো বেতন দিতে পারবে কিনা সন্দেহ হচ্ছিল । তাই আমরা ঠিকাদারকে ফাকি দিয়ে হরিয়ানা যাব কাজ করতে । পরিকল্পনা মাফিক আমরা ৭ জনের মধ্যে ৫ জন যথাক্রমে- আমি, দিপক, বাবলু, সুমীন (ভীম) ও জীবন রায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হই । কিন্তু দুই জন যথাক্রমে- বিষ্ণু ও গৌরাঙ্গ পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিল । অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম ওদের জন্য । কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি ঐ দুই জনের । কিছুক্ষন পর বাবলুর মোবাইল এ একটি কল আসে । কল রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে বলছে - তোমরা কোথায় আছো ? তাড়াতাড়ি চলে আসো । তোমাদের দুই জন ছেলের মধ্যে এক জন কান্না করছে । কান্নায় আমরা সবাই বিষ্ণুর গলার আওয়াজ শুনতে পাই । তারপর আবার আমাদেরকে ফিরে আসতে হয় । ফিরে এসে দেখি হোটেলে কেউ নেই । হোটেল মালিকের কাছে জানতে পারি ওরা সবাই গাড়ি চেপে বিত্তা মোড়ে পৌঁছে গিয়েছে । আমরাও ৫ জনই অটো গাড়িতে চেপে বিত্তা মোড়ে পৌঁছে দেখি সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে । তারপর বাসের টিকিট কেটে নিলাম নেপালের রাজধানী শহর কাঠমুন্ডু যাওয়ার জন্য । পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে দেখে আমি অবাক হয়ে যাই । দৃশ্যগুলিও দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল । পরের দিন সকালে আমরা কাঠমুন্ডু পৌঁছাই । একটি চায়ের দোকানে বসে চা-বিস্কুট খেলাম । এরপর কাঠমুন্ডু থেকে বাস ধরে থোসে বাজার নামক জায়গায় পৌঁছাই রাত আট- টা নাগাদ । আমি মাস খানেক ধরে কাজ করে বাড়ি ফিরে আসি । টাকা উপার্জন করতে গিয়ে বিফল হয়ে ফিরে আসি । কারণ ঐ সময় বাড়িতে কলকাতা পুলিশের শারীরিক পরীক্ষার জন্য এডমিট কার্ড পৌছায় । কিন্তু আমার ভাগ্য খারাপ, আমি সঠিক সময়ে বাড়ি ফিরতে পারিনি এবং আমার এডমিট কার্ডও সঠিক সময়ে পোস্ট করা হয়নি৷ অন্যদিকে পড়াশোনাও ডুবে যায় .................??????? পরের এপিসোড এ চোখ রাখুন। 






শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

NEPAL JOURNEY FOR EARN MONEY

      কালিয়াগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এ আমরা সময়মতো পৌঁছে যাই । কিন্তু তখন পর্যন্ত ঠিকাদার এসে পৌঁছয়নি । ফলে আমরা সবাই মিলে কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশন এ ঘুরতে যাই। স্টেশনের ভিতরে ঢুকে বসে ছিলাম । এমন সময় আমার নজর যায় একটি মেয়ের দিকে । মেয়েটি দেখতে খুব সুন্দর , আন্দাজ করলে সে ১৫ বছরের একজন যুবতী । আমি তাকে বার বার স্টেশনের ভিতরে এপাশ থেকে ওপাশ ঘুরাঘুরি করতে দেখে অবাক হয়ে যাই ।  আমি ভালোভাবে ব্যাপারটি পর্যবেক্ষন করে বুঝতে পারি মেয়েটির ঘুরাঘুরির রহস্য । মেয়েটি রেল কর্তৃপক্ষের এক বিহারী পুলিশ কনস্টেবলকে ইশারা করছিল । ইতিমধ্যেই ঠিকাদার এসে পৌঁছয় বাস স্ট্যান্ড এ । আর সেই দৃশ্যটি দেখা হল না । খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে পৌছলাম । তারপর কালিয়াগঞ্জ থেকে সাফারী গাড়িতে চেপে রায়গঞ্জ সরকারি বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছাই। সেখান থেকে শিলিগুড়ি গামী বাসে চড়ে পানী টেঙ্কি গিয়ে সবাই নেমে পড়ে । কিন্তু ঠিকাদার ও আমাকে বাস থেকে টিকিট কালেকটর নামতে দেয়নি । পরে আমি কারণটি বুঝতে পারি। ঠিকাদার সবার বাস ভাড়া দিতে পারেনি । পরে ঠিকাদার তাঁর নিজের মোবাইলটি টিকিট কালেকটরকে দিয়ে দেয় বাস ভাড়ার দরুন । তারপর আমরা পানী টেঙ্কি থেকে নেপালের কাঁকরাভিটা নামক জায়গায় পৌঁছে একটি হোটেলে রাত্রী যাপনের জন্য আশ্রয় নিই। সেই রাতে খাবার খেয়ে সবাই নিজ নিজ বিছানায় শুয়ে পড়ি। এইভাবে আমাদের দুই রাত দুই দিন হোটেলেই থাকতে হয়????? বাকি অংশটি আগামী কাল শেয়ার করব  ।






বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১

EARN MONEY

      ফাস্ট ইয়ার পাশ করার পর সেকন্ড ইয়ারে ভর্তি হই । কিন্তু ঠিক সেই সময় একটি ঘটনা ঘটেছিল আমার। বাবা আমাকে বলে দিলেন যে - " যদি তুমি পড়াশোনা করতে চাও তাহলে টাকা উপার্জন করে পড়ো । আমি তোমার পড়াশোনার খরচ করতে পারব না "। বাবার এই কথা বলার পিছনে এক বিশেষ রহস্য ছিল । কারণ আমার বোন তখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। হয়তো এখানে আর খুলে বলার দরকার নেই সেই রহস্যের কথা । আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। বাবার কথা শুনে আমাকে খুব খারাপ লাগে । তারপর দুই তিন দিন এইভাবে সময় অতিবাহিত হয় । কোনো কিছুই ভাল লাগছিল না । তবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে আমি একটি উপায় বের করি । আগে আমাকে টাকা উপার্জন করতে হবে , তারপর পড়াশোনা করব। কখনো আবার ভাবতাম - যদি কোনও এক মহান ব্যক্তি আমার পড়াশোনার খরচ চালাত, তাহলে আমি কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতাম । পরক্ষনেই আবার ভাবি যে এইরকম ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন । এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে কালী মন্দিরের বারান্দায় গিয়ে বসে আছি । কিছুক্ষণ পর সেখানে গ্রামের ছেলেরা, যথাক্রমে- বাবলু রায়, সুমীন সরকার (ভীম), দীপক রায়, বিষ্নু রাজবংশী ও আমার সেজো মাসীর ছেলে গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এসে হাজির হয় । বাবলু আমাকে বলে - একাই বসে বসে কী ভাবছিস ? আমি আমার বিষয়টা বাবলুকে খুলে বলি। সে আমাকে বলে আমরা সবাই মিলে নেপাল যাচ্ছি প্লাই বোর্ডের কোম্পানীতে কাজ করতে । যদি তুই যেতে চাস তাহলে আমাদের সঙ্গে আসতে পারিস । আমিও ভাবলাম প্রস্তাবটি কার্যকর করা সম্ভব । পরেরদিন আমরা সবাই মিলে ঠিকাদারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম । ঠিকাদার বলল - আপনারা সবাই আসতে পারেন , কোনও সমস্যা হবে না । তবে তারিখ অনুযায়ী কালিয়াগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পৌঁছে যেতে হবে। বাকি অংশটি জন্য পরের এপিসোড এ চোখ রাখুন। 















MYSTERY OF MY JOB (8)

       বাড়িতে আসার পথে আমরা সাবিত্রী পিসীর বাড়ি ঢুকলাম । দিনটি ছিল হোলির দিন । সম্পর্কটা ঠিকঠাক না হওয়ায় মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । এই...