মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB (8)

       বাড়িতে আসার পথে আমরা সাবিত্রী পিসীর বাড়ি ঢুকলাম । দিনটি ছিল হোলির দিন । সম্পর্কটা ঠিকঠাক না হওয়ায় মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । এই আক্ষেপে উদয় দাকে একটি মদের বোতল নিয়ে আসতে বললাম । সে কথামতো একটি মদের বোতল নিয়ে আসে । সাবিত্রী পিসী খাসির মাংশ রান্না করছিলো । আমি রান্না ঘরে গিয়ে পিসীর কাছ থেকে এক বাটি মাংস চেয়ে নিই । 

        তারপর আমরা বারান্দায় চট বিছিয়ে মদ খেতে শুরু করি । তিন প্যাক করে খাবার পর সবার মাথা ঝিমোত শুরু করে । এমন সময় পিসে মশায়ের গ্রামের এক মহিলা বাড়িতে প্রবেশ করে । সেই মহিলা পিসীর সঙ্গে গল্প করছিল আমাকে নিয়ে । তারপর সেই মহিলা আমার দিকে লক্ষ করে সাবিত্রী পিসীকে বলল - যদি কিছু না মনে কর তাহলে আমার ভাগনিকে দেখাতে চাইছিলাম । তোমার ভাসতার পছন্দ হলে ডিমান্ডের দিক থেকে আটকাবে না । মদ খেতে খেতে আমি মেয়ের মামিকে বললাম - " বর্তমানে আমাদের এক জায়গায় কথাবার্তা চলছে । অতএব ওখানে যদি সম্পর্ক না হয় তাহলে আপনার ভাগনিকে দেখতে যাবো "। 

      তারপর উনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন । আমরাও  মদের বোতল শেষ করে মাংসভাত খেতে বসলাম । তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে পিসীর বাড়ি থেকে রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে । হালকা নেশা হয়ে যাওয়ায় বাইক ধীরে চালাচ্ছিলাম । ঘন্টায় গতিবেগ ছিল ২০ কিলোমিটার । হোলির দিন থাকায় রাস্তাঘাটে তেমন গাড়ি চলছিলো না । সমস্ত রাস্তা গল্প করতে করতে ভালোভাবেই আসছিলাম । কিন্তুু সরলা ঢোকার আগে ধধরং নামক জায়গায় আমাদের দুর্ঘটনা ঘটে যায় । এতে আমার কোনো দোষ ছিল না । কারণ রাস্তার দুই ধারে গ্রামের বাসিন্দারা দাঁড়িয়ে ছিল । আর তাদের পাশে দুটি ছাগল বাঁধা ছিল । আমার বাইক ওদের কাছাকাছি আসতেই বাইকের শব্দে ভয় পেয়ে হঠাৎ একটি ছাগল আমার বাইকের সামনে চলে আসে । আর ছাগলের দড়ি বাইকের ডবল স্ট্যান্ড এর সঙ্গে লেগে যায় । আমি বাইক ব্রেক করতই দড়ির খুটা ছিটকে গিয়ে এক বুড়িকে লাগে সজোড়ে । ফলে বুড়ি ওঃ মা! বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

        আমি বাইক থামিয়ে বুড়িকে দেখতে গেলে পাড়ার লোকজন আমাকে মারতে উদ্ধত হয় । ঠিক সেই সময় গ্রামের এক বাইক নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় । উনি সবাইকে থামিয়ে দিয়ে আমার কাছে পুরো ঘটনাটি শোনে । তারপর তিনি আমাকে বলেন - " এখানে তো তোমার কোনো দোষ দেখছি না " । রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তিনি গ্রামের লোকজনকে বকা দিলেন এবং আমাকে বললেন তুমি এই বৃদ্ধার জন্য ঔষধ কিনে দাও । সরলা স্ট্যান্ডে গিয়ে বৃদ্ধাকে ১৫০ টাকার ঔষধ কিনে দিই। এরপর বাড়িতে পৌছাই বিকাল সাড়ে চার টে নাগাদ । 

           বাড়িতে পৌঁছে ....................................।




রবিবার, ২ মে, ২০২১

MYSTERY OF MY JOB 7

         তারপর আমি সবাইকে স্বাভাবিক ভাবে বললাম - এটা মেয়ে বাড়ির ব্যাপার , কী ঘটেছে ? ওখানে না গেলে বোঝা যাবে না । অতএব আপনারা সবাই চুপ করুন, আমাকে প্রশ্ন না করে যেতে দাও তাহলে কী ঘটেছে তা বোঝা যাবে । জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে সেখানে আসতে বলছে । এই কথা শুনে মামা-মামী, দাদু-দাদী সবার হাসি মুখে জিঙ্গাসার চিহ্ন ফুটে ওঠে । বাবা সব শুনে ও বুঝে আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে বলেন মেয়ের বাড়িতে । আমিও দেরি না করে অনন্ত ও রঞ্জিত জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের বাড়ি রওনা দিই । যেতে যেতে আমি অনন্ত জামাইবাবুকে জিঙ্গাসা করলাম - আসলে কী ঘটতে পারে ? সে বলে - আমিও তো কিছুই বুঝতে পারছি না । গতকাল অবধি তো সব ঠিকই ছিল । 

         রঞ্জিত জামাইবাবু বলে - আরে , চল না ! ওখানে পৌছালেই সব বোঝা যাবে । আমি আর কিছু না বলে বাইক চালাতে থাকি । ঘন্টা দেড়েক পরে মেয়ের বাড়ি পৌঁছে যাই । উদয় দা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন । আমি উদয় দাকে জিঙ্গাসা করতেই যাচ্ছিলাম - কী ঘটেছে ? কিন্তু সে আমার দিকে নজর না দিয়ে বলল - বাড়ির ভিতরে চলো সবাই । আমি আর কিছু না বলে উদয়ের পিছু পিছু বাড়িতে ঢুকে ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসলাম । 

         তারপর যা ঘটলো ,তা আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন না । সমস্ত ঘটনা কেমন যেন হাস্যকর । আমি মেয়ের বাবাকে জিঙ্গাসা করলাম - " হ্যাঁ, কী হয়েছে বলুন " ? মেয়ের বাবা কিছু বলার আগেই মেয়ের পাশের বাড়ির এক বউদি ( দেখতে খুব সুন্দর এবং চাকরি-ওয়ালার বউ। শিক্ষিতও মনে হচ্ছে ) বলে উঠলেন- " কী হয়নি সেটা বল "। আমি বললাম - " মানে, আমি ঠিক বুঝতে পারলাম " । বউদি - " তোমার এপয়েন্টমেন্ট লেটারে যে তিন তিনটে ভুল এগুলো কি করে মেনে নেওয়া যায়" ।

                 আমি - " দেখুন বউদি , আমি গরীবের ছেলে। আমার বাপ ঠাকুরদা কেউ কখনো চাকরি করেননি । অতএব আমার সাত পুরুষের মধ্যে আমিই প্রথম এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়েছি । আমি তো কোনদিন চোখেও দেখিনি এপয়েন্টমেন্ট লেটার কি রকম হয় । আর তাতে কী ভুল আছে তা আমি জানব কেমন করে । আচ্ছা, কী ভুল পেয়েছেন যদি একটু বলেন তবে জানতে পারি "। বউদি বললেন যেমন প্রথমত ভুল - " তোমার এপয়েন্টমেন্ট লেটারের প্রথমে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া নেই" । দ্বিতীয়ত - " পরীক্ষার তারিখ (২৯/০২/২০১৩ ) ভুল , কারণ লিপ-ইয়ার ছাড়া ফেব্রুয়ারী মাসে ২৯ তারিখ হয় না " । তৃতীয়ত - " লেটারের মাঝে বানান ভুল " । এই রকম যদি হয় তাহলে তো মেয়ের বাবাকে তুমি ধোকা দিচ্ছো ।

          আমি নির্ভয়ে জবাব দিলাম - " শুনো বউদি , তুমি যে তিনটে ভুলের কথা উল্লেখ করলে , সেটা সম্পর্কে আমার কোনো ঞ্জান নেই । কারণ , আপনাদের মেয়েকে দেখতে এসে তোমার স্বামীকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখিয়েছি এবং জেরক্স দিয়ে গেছি । দাদা একজন চাকুরীওয়ালা হয়েও গতকাল এই ভুল গুলো ধরতে পারেনি তাহলে আমি ধরবো কেমন করে । আর তুমি কী বললে যেন - "আমি মেয়ের বাবাকে ধোকা দিচ্ছি" । যদি এই রকম কোনো খারাপ চিন্তা মাথায় থাকত তাহলে এপয়েন্টমেন্ট লেটারের জেরক্স দিয়ে যেতাম না । আমি গরীব হলেও চোর নয় " । 

           আমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম এমন সময় মেয়ের বাবা আমাকে বললেন - " যাই হোক বাবা, আমি এই মুহূর্তে বিয়ে বন্ধ করছি । আর একটা কথা - তুমি আগে চাকুরীতে জোয়েন্ট করো , তারপর আমি আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দেব " । আমিও বললাম - " ঠিক আছে, এই কথাই রইল " । এই বলে আমরা মেয়ের বাবার কাছে বিদায় জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম।

       তারপর......................…...??????? 





MYSTERY OF MY JOB (8)

       বাড়িতে আসার পথে আমরা সাবিত্রী পিসীর বাড়ি ঢুকলাম । দিনটি ছিল হোলির দিন । সম্পর্কটা ঠিকঠাক না হওয়ায় মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । এই...